Friday, May 2, 2025

নামাজ আসার অনেক পর মদ হারাম হয়েছে ।

 


ইসলাম পূর্ব যুগে এমনকি ইসলামের শুরুর দিনগুলোতেও মদ পানের প্রচলন ছিলো। আল্লাহ তায়ালা মোট চারটি ধাপে মদ হারাম করেন। 

প্রথম ধাপ 

আল্লাহ তায়ালা কোরআনের আয়াত নাজিলের মাধ্যমে ঘোষণা দিলেন যে, তোমরা খেজুর ও আঙ্গুর দ্বারা মাদক তৈরির পাশাপাশি উত্তম খাদ্য বস্তুও তৈরি করে থাক। যেমন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,

وَمِنْ ثَمَرَاتِ النَّخِيلِ وَالْأَعْنَابِ تَتَّخِذُونَ مِنْهُ سَكَرًا وَرِزْقًا حَسَنًا

‘আর খেজুর গাছের ফল ও আঙ্গুর হতে তোমরা মাদক ও উত্তম খাদ্য গ্রহণ করে থাক।’ (সূরা নাহল, আয়াত: ৬৭)

এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সরাসরি মাদক হারাম করেননি, তবে জানিয়ে দিলেন, মাদক ভিন্ন জিনিস। আর উত্তম খাদ্যবস্তু ভিন্ন জিনিস। এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর সাহাবায়ে কেরাম ধারণা করে নিলেন যে, মাদক সম্পর্কে কোনো বিধান আল্লাহ তায়ালা অচিরেই নাজিল করবেন।

দ্বিতীয় ধাপ 

এরপর সাহাবায়ে কেরাম যখন মাদক সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন তখন আল্লাহ তায়ালা কোরআনের আয়াত নাজিলের মাধ্যমে তার প্রিয় হাবীবকে জানিয়ে দিলেন যে, মদের মাঝে উপকার ক্ষতি উভয়ই রয়েছে। তবে উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি। কোরআনে এসেছে,

يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِنْ نَفْعِهِمَا

‘তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, এ দু’টোয় রয়েছে বড় পাপ ও মানুষের জন্য উপকার। আর তার পাপ তার উপকারিতার চেয়ে অধিক বড়।’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ২১৯)

এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা সাহাবায়ে কেরামের অন্তরে মাদকের প্রতি কিছুটা ঘৃণার সৃষ্টি করে দিলেন। ফলে সাহাবায়ে কেরাম দু’দলে ভাগ হয়ে গেলেন। একদল ক্ষতির দিক বিবেচনায় তা বর্জন করলেন। আরেকদল চিন্তা করলেন, যেহেতু কিছুটা উপকার রয়েছে তাই তা গ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।

তৃতীয় ধাপ

এ পর্যায়ে আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাজিল করে জানিয়ে দিলেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজের কাছেও যাওয়া যাবে না। যেমনটি ইরশাদ হয়েছে,

يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى

‘হে মুমিনগণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না।’ (সূরা নিসা, আয়াত: ৪৩)

চতুর্থ ধাপ

এই আয়াতে সবসময়ের জন্য মদকে পরিষ্কার হারাম ঘোষণা না করায় অনেকেই নামাজের সময় বাদে অন্য সময় মদ গ্রহণ করতেন। ইতিমধ্যে ঘটে যায় আরও একটি ঘটনা। আতবান ইবনে মালেক (রা.) কয়েক সাহাবিকে দাওয়াত করেন। যাদের মধ্যে অন্যতম একজন অতিথি ছিলেন সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.)। খাবার শেষে মদপানের প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়। সেখানে আরবের প্রথা অনুপাতে কবিতা পাঠ ও নিজ নিজ বংশের গৌরবগাথা বর্ণনা শুরু হলে একজন মুহাজির সাহাবি আনসারদের দোষারোপ করে নিজেদের প্রশংসাকীর্তন করে আবৃত্তি করলেন একটি কবিতা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আনসারি এক যুবক উটের গলার একটি হাড় ছুড়ে মারেন তার মাথায়। 

মারাত্মকভাবে আহত হয়ে রাসুলের কাছে ছুটে যান তিনি। অভিযোগ করেন সেই যুবকের বিরুদ্ধে। তখন রাসুল (সা.) দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! মদ সম্পর্কে আমাদেরকে একটি পরিষ্কার বর্ণনা ও বিধান দান করুন, যাতে সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিরসন হয়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা মদ-জুয়াকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করলেন।’ ‘হে ঈমানদাররা! মদ, জুয়া, মূর্তি ও তীর নিক্ষেপ এসব নিকৃষ্ট বস্তু ও শয়তানের কাজ। কাজেই তোমরা এগুলোকে বর্জন করো। যাতে তোমরা সফল হতে পারো। 

শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ও তিক্ততা ঘটাতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ থেকে বিরত রাখতে চায়। তবুও কি তোমরা তা থেকে বিরত থাকবে না!’ (সুরা মায়েদা : ৯০-৯১)। এই আয়াতে মদ ও জুয়াকে নিকৃষ্ট বস্তু ও ক্ষতিকর কাজ উল্লেখ করে সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘যখন নবীজির পক্ষ থেকে একজন ঘোষক মদিনার অলিগলিতে প্রচার করতে লাগলেন যে, মদপান হারাম ঘোষণা করা হয়েছে, তখন যার হাতে মদের যে পাত্র ছিল, তা তারা সেখানেই ফেলে দিয়েছিলেন। সেদিন মদিনায় এত পরিমাণ মদ নিক্ষিপ্ত হয়েছিল যে, মদিনার অলিগলিতে বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট কাদাপানির মতো অবস্থা হয়েছিল এবং অনেক দিন পর্যন্ত মদিনার অলিগলির অবস্থা এমন ছিল, যখনই বৃষ্টি হতো, মদের গন্ধ মাটির ওপর ফুটে উঠত।’

 (তাফসিরে মায়ারেফুল কোরআন :

Wednesday, April 23, 2025

বাজারে চাঁদাবাজী মাদক ও অবৈধ মাটির ব‍্যবসা ।

 বিজয়নগর ব্রাক্ষনবাড়ীয়া :-







ইসলামপুর বাজারে ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠানে দোকান পাটে চাঁদাবাজী মাদক ব্যবসা ও সোনাই নদীতে অবৈধ মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে । রাত হলেই ইসলামপুর ও পাশের গ্রামের বুধন্তী ইউনিয়নের সোনাই নদীর পারের মাটি ও ট্রেজার দিয়ে বালু উওোলন করছে আওয়ী ও বি এন পির লোকেরা , একই কাজ গত ৫ আগস্টের ২০২৪ আগে আওয়ামী রা করে আসছে । 

খবর নিয়ে জানা যায় , 

রাত হলেই শত শত ট্রাক দিয়ে মাটি পাচার হচ্ছে ও মহা সড়ক ঠিকাদার দের কাছে টাকার বিনিময় করছে । 

ফলে যেকোন সময় নদীর দুপাড়ের ফসলি জমি ভেঙে বিলীন হতে পারে নদী ভাঙনের হুমকি দেখা দিয়েছে বলে এলাকা বাসি জানায় ।

আবার ইসলাম পুর বাজারের প্রতিটি দোকান ও ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাদাবিজি ও মাদক ব‍্যবসার অভিযোক উঠেছে , 

১৬ বছর দেশের জনগন  একটি নিপিরন ও নির্যাতনের শিকারে আবদ্ধ ছিলো ৫ ই আগস্টের পর থেকে বহাল তবিয়তে স্হনীয় আওয়ামীরা লোক জন চাঁদাবাজরা ও মাদক ব‍্যবসা করে আসছে যা এলাকাবাসি তাদের এই কাজের জন্যে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে । 

সাথে বি এন পির স্হানীয় লোকজন 

একই কাজ চাঁদাবাজী ও মাদক ব‍্যবসা শুরু করেছে ।

এলাকাবাসী প্রশাসন কে জানানোর পরও বন্ধ হচ্ছে না । 

আমার লিখুনির মাধ্যমে স্হনীয় প্রশাসন ও সচেতন লোক দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । 

যেনো সকল ধরনের অপরাধ নির্মূল হয় । এবং আওয়ামী  ও বি এন পি সন্ত্রাসীদের ধরে আইনের আওতায় আনা হোক ফলে দেশের সাধারণ জনগন নির্ভয়ে জীবন যাপন ও ব‍্যবসা বানিজ‍্য  সাভাবিক হবে । 

কাজী দেলোওয়ারুল আজীম 

কলামিস্ট । 



Monday, March 10, 2025

রমজানের শ্রেষ্ঠ দোয়া সমুহ আমল করতে পারা ভাগ‍্য ।


 





(কাজী দেলোয়ারুল আজীম)

রমজানে যে দোয়া বেশি বেশি পড়বেন

দোয়াও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অস্পূর্ণ থাকে। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন।

রোজার দিন বেশি বেশি ইসতেগফার পড়া। বিশেষ করে ইফতারের আগে আগে বেশি বেশি ইসতেগফার, দরূদ ও দোয়া পড়বেন।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الْعَظِيْم – اَلَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ اَلْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْم উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম, আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু আল-হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম, ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
 
- اَلْحَمْدُ للهِ اَللّهُمَّ إنِّيْ أسْئَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِيْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْئٍ أنْ تَغْفِرَلِيْ উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিআত কুল্লা শাইয়িন আন তাগফিরলি।’
 
অর্থ : ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য; হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারে তোমার সর্ববেষ্টিত রহমতের উসিলায় প্রার্থনা করছি, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ (ইবনে মাজাহ)

রমজান জুড়ে বিশ্বনবির এ দোয়াগুলো বেশি বেশি করা জরুরি। আর তাহলো- اَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ اﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আ’ন্নি।
 
সাইয়্যিদুল ইসতেগফারও পড়া যেতে পারে-
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
 
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানি; ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আ’হদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্বা’তু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া; ওয়া আবুউ বিজামবি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।’
তাছাড়া 
নবীজী স: উপর দরুদ সর্ব অবস্থায় পড়া উপকার রয়েছে 
১০ টি রহমত প্রতি একবার দরুদে 
নবীজী স: বলেন তিনবার সুরা ইখলাস পাঠকরা কুরআন খতমের সোয়াব রয়েছে । 

সারা বছর ব‍্যস্ততার কারনে কুরআন পাঠ করা হয়না 
রমজানে ৭০ গুন বেশি সোয়াব অর্জন করা অফুরন্ত সুযোগ 
রয়েছে … । 
তাই আমরা রমজানের হক ও রোজার ফজিলত ও মাগফেরাত অর্জন করার চেষ্টা করি , মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুন আমিন … 

নামাজ আসার অনেক পর মদ হারাম হয়েছে ।

  ইসলাম পূর্ব যুগে এমনকি ইসলামের শুরুর দিনগুলোতেও মদ পানের প্রচলন ছিলো। আল্লাহ তায়ালা মোট চারটি ধাপে মদ হারাম করেন।  প্রথম ধাপ  আল্লাহ তায়াল...