বিসমিল্লাহ বলার মিরাকল•••••••
আমি তাকে বয়স জিজ্ঞেস করলাম , সে বলল ৯৫ এবং আরও বল্লেন তার মা ১০৫ বেঁচেছিলেন।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম , আপনার সুস্বাস্থ্যের রহস্য কী?
তিনি বললেন, অসুস্থ হবেন না____
আমি বললাম , এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই
তিনি হেসে বললেন, আছে
আমি বললাম, আমাকে গোপন কথা বলুন, আমি তা অনুসরণ করব
তিনি বললেন, বিসমিল্লাহ না বলে কিছু খাবেন না, এমনকি এক ফোঁটা পানি বা সামান্য টুকরোও।
আমি চুপ ছিলাম।
তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ তায়ালা কোন কারণ ছাড়াই কিছু সৃষ্টি করেন নি , তার সকল সৃষ্টির মাহাত্ম্য আছে । বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া শুরু করলে আল্লাহতালা খাওয়া থেকে সমস্ত ক্ষতিকর জিনিস তুলে নেন। খাওয়ার আগে সবসময় বিসমিল্লাহ বলুন এবং আপনার সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।
যখন আপনি খাওয়া শেষ করবেন, আপনার হাত তুলুন এবং আল্লাহ তায়ালাকে ধন্যবাদ জানান। আপনি কখনই অসুস্থ হবেন না।
তার কথা বলার পর আমার চোখ অশ্রুতে ভরে গিয়েছিল । আমি যেতে চাচ্ছিলাম কিন্তু সে আমার হাত ধরে বলল: শোন, খাবারের শেষ কথা।
আমি আবার বসলাম।
তিনি বলেছিলেন যে , আপনি যদি কারো সাথে একসাথে খান , আপনার মুখে কখনই খাবার আগে তুলবেন না , যতই ক্ষুধা লাগুক না কেন, অন্য ব্যক্তিকে খাবার নিতে দিন বা অন্য ব্যক্তিকে আগে দিন। ঐ ব্যক্তিকে খাওয়া শুরু করতে দিন, তারপর আপনি করুন।
আমি কারণ জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা পেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি আমাকে বলেছিলেন "এটা আপনার জন্য খাদ্যের সদকা উপরন্ত আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর খুশি হবেন যে আপনি তার সৃষ্টির যত্ন নেন । সদা মনে রাখিবেন খাদ্য আপনার শরীরের জন্য এবং বিসমিল্লাহ আপনার আত্মার জন্য। এখন বলুন আপনি কিভাবে অসুস্থ হতে পারেন?
আমি যেতে যেতে ভাবছিলাম , আমাদের দ্বীন যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় বলে তা আমরা পাত্তা দেই না এবং আমাদের সন্তানদেরও সেগুলো শেখাই না !!
আরো কিছু বিসমিল্লাহ এর ফজিলত ও উপকারীতা
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” এর অসংখ্য উপকারীতা রয়েছে। তাফসীরে কাবীর ও তাফসীরে আযীযী থেকে এখানে কতিপয় উপকারীতার বর্ণনা করছি-
১. যে ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীর পাশে যাওয়ার সময় অর্থাৎ সহবাসের পূর্বে ‘‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পড়বে তাতে শয়তান শরীক হবে না। এবং সেই সঙ্গমে যদি মায়ের গর্ভে সন্তান ধারণ নিশ্চিত হয়ে যায় তাহলে জরায়ুতে সেই ধারণকৃত বাচ্চার জীবনে যে পরিমাণ শ্বাস নিবে সেই পরিমাণ সওয়াব ও কল্যান তার পিতার আমল নামায় লিপিবদ্ধ হবে।
২. যে ব্যক্তি কোনো প্রাণীর উপর আরোহণ করার সময় বিসমিল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ পড়ে নিবে তাহলে সেই প্রাণীর প্রতিটি কদমের জন্য সেই আরোহীর অনুকূলে একটি সওয়াব বা কল্যান লিপিবদ্ধ হতে থাকবে।
৩. যে ব্যক্তি কোনো নৌ-যানে আরোহণ করার সময় বিসমিল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ পড়ে নিবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে সেই আরোহণে বর্তমান থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার জন্য পূণ্য ও কল্যান লিপিবদ্ধ হবে।
৪. যে রোগী ‘‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পড়ে ঔষধ সেবন করবে ইনশা আল্লাহ তার উপকার হব
"আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার অসুস্থতা থেকে রক্ষা করুন এবং আমাদের তার আনুগত্যশীল বান্দা বানান "
آمــــــــــين ثـمّ آمــــــــــين
#সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment