শিশু অবস্থায় কোনো সন্তান মারা গেলে পরকালে তারা তাদের মুসলিম মাতা-পিতাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, ‘শিশু (অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী) মুসলিম সন্তানেরা জান্নাতের ‘শিশু খাদেম’ হবে। তারা তাদের মাতা-পিতাকে পেলে কাপড় ধরে টেনে জান্নাতে না নেওয়া পর্যন্ত ছাড়বে না।’ (মেশকাত : ১৭৫২)
গর্ভে যাদের সন্তান মারা যায়, তাদের জন্য প্রিয়নবীর ঘোষণা...
ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! সন্তান গর্ভে মারা যাওয়ার পর মা যদি ধৈর্য ধরে, ঐ গর্ভস্থ সন্তান কিয়ামতের দিন তার মাকে তার নাড়ি দিয়ে জড়িয়ে-বেঁধে টেনে টেনে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে!
[ ইবনে মাজাহঃ ১৬০৯, মুসনাদে আহমাদঃ ২২০৯০, সহিহ সনদ]
ছোট্ট বাবু তার মাকে আঁচল নয়, নাড়ি ধরে টানছে জান্নাতের দিকে... আহ! ভাবা যায় কি মনকাড়া হবে সে দৃশ্য... আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার!!
শিশু বয়সে মৃত্যুবরণকারী সন্তানদের জান্নাতে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতির সঙ্গে উপমা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু হাসসান (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত আবু হুরায়রাকে (রা.) বললাম, ‘আমার দুটি সন্তান মারা গিয়েছে। আপনি কি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর থেকে থেকে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করবেন, যাতে আমরা অন্তরে সান্ত্বনা পেতে পারি?’ তখন আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, হ্যাঁ, আমি নবীজিকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘ছোট বয়সে মৃত্যুবরণকারী সন্তানেরা জান্নাতের প্রজাপতির মতো। তাদের কেউ যখন পিতা কিংবা পিতা-মাতা উভয়ের সঙ্গে মিলিত হবে, তখন তার পরিধানের কাপড় কিংবা হাত ধরবে, যেভাবে এখন আমি তোমার কাপড়ের আঁচল ধরেছি। এরপর সেই কাপড় কিংবা হাত আর পরিত্যাগ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তাকে তার মা-বাবাসহ জান্নাতে প্রবেশ না করাবেন। (মুসলিম : ৬৩৭০)
আর যারা গর্ভে লালন পালনের ভয়ে ইচ্চে করে হত্যা করে ঐ সন্তান মা বাবা কে পেলে কি করবে একটু ভাবুন । হত্যার আসামী করবে ।
সুতরাং সত্যিই গোনাহ ছাড়া মুমিনের কোনো বিপদও নেই। এবং হারানো বা আফসোসের কিছু নেই। বরং এগুলোর সবই আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ।