Tuesday, May 31, 2022

পিঁপরা কাচের তৈরী




 `পবিত্র কোরআন ই‌ঙ্গিত দি‌য়ে‌ছে, পিঁপড়া কাঁ‌চের তৈরী, আর বিজ্ঞান ও অবশেষে তা প্রমাণ পেল!__আলহামদুলিল্লাহ।


আল্লাহ্ বল‌ছেনঃ

حَتَّىٰ إِذَا أَتَوْا عَلَىٰ وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَا أَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُودُهُ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ

•“অবশেষে যখন তারা পিঁপড়া অধ্যুষিত উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপড়া বলল, ‘হে পিঁপড়া বাহিনী! তোমরা তোমাদের ঘরে প্রবেশ কর, যেন সোলাইমান ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পায়ের নিচে পিষে না ফেলে”। (সুরা আন-নামল : ১৮)•


ইসলামের ঘোর বিরোধী কিছু ইউরোপীয় علماء علمانيين তথা ধর্মনিরপেক্ষ পণ্ডিত একবার কয়েক সদস্য বিশিষ্ট একটি গবেষক টিম বানিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্তত একটি ভুল হলেও কোরআন থেকে বের করে একথা প্রমাণ করা যে, কোন কিতাবই নিখুঁত ও নির্ভুল নয়।


কোরআনে যেহেতু অধিকাংশ বিষয়ই আধ্যাত্মিক ও পারলৌকিক অর্থ বহন করে সেহেতু তাদের মনে অনেকটাই কনফিডেন্স ছিল যে দর্শনগত কিছু ভুল হয়তো তারা খুঁজে পেয়ে মুসলমানদের লা জবাব করবে।


অবশেষে ভাবনা অনুযায়ী কঠিন গবেষণা আর হাড় ভাঙা পরিশ্রমের পর টিমের সদস্যদের একেকজনের ভিন্নমুখী দর্শনে কোরআনের এই অংশে তারা মতানৈক্যে জড়িয়ে যায়। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় কোরআনের ভাষাগত ত্রুটি বের করবে যেখানে মতানৈক্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। দীর্ঘ সময় পর ব্যাকরণগত কোন ত্রুটি না পেয়ে একটি শব্দের ব্যবহারিক অর্থ ও প্রয়োগ স্থান নিয়ে আপত্তি জানালো। সুরা নামলের উল্লিখিত ঐ আয়াতে “لا يحطمنكم” শব্দটি নিয়ে আপত্তি জানালো। কারণ التحطيم শব্দটির অর্থ হচ্ছে ভেঙে টুকরো টুকরো করা বা পিষে গুড়া করা। কাজেই التحطيم শব্দটির যথার্থ ব্যবহার কাঁচ বা কাঁচ জাতীয় পদার্থ ছাড়া অন্য কিছুতে সম্ভব নয়। তাহলে কিভাবে পিঁপড়ার জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করা সঠিক হয়েছে? যেহেতু পিঁপড়াকে পায়ের নিচে ফেলে টুকরো করা বা গুড়া করা যায় না সেহেতু এই শব্দটি পিঁপড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা ভুল হয়েছে। এভাবে তারা একটা অযাচিত ভুল দেখিয়ে অনেক উল্লাস করেছিল।


-এর বহু দিন পর অস্ট্রেলিয়ার প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন অধ্যাপকের পিঁপড়ার জীবন রহস্য গবেষণায় দেখা গেছে পিঁপড়ার শরীরের বাহিরের অংশে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাঁচের উপাদান বিদ্যমান এবং এর বডি উন্নত মানের গ্লাস ফাইবার দ্বারা তৈরি। যার কারণে একটি মৃত পিপড়ার খোলস সামান্য আঘাতে ভেঙে অনেক গুলো খণ্ডে টুকরো হতে দেখা যায়। অতঃপর সেই অধ্যাপক ইসলাম গ্রহণ করতে বিলম্ব করেননি। 


সুবহানাল্লাহ্♥️♥️♥️

°°°°°°°°°°°°

Sunday, May 29, 2022

স্বরনের পাহার বের হবে

 ফোরাত নদীর অবস্হা ভবিষ্যত  বানী 


ফোরাত নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে,এবং এ নিয়ে

নাসার গবেষকেরা খুবই চিন্তিত৷

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, হযরত মোহাম্মাদ সঃ বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে ফোরাত

নদী সোনার ভান্ডার উন্মুক্ত করে দেবে, সে সময় যারা ওখানে উপস্থিত থাকবে তারা যেনো তা থেকে কিছুই গ্রহন না করে৷

(সহীহ বুখারী, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ২৬০৫)


প্রিয় নবিজী সঃ আরো বলেন,সেই পর্যন্ত কেয়মত সংঘটিত হবে না, যতক্ষন না ফোরাত নদী থেকে

স্বর্নের পাহার বের হবে৷ তার জন্য মানুষ যুদ্ধ করবে, প্রতি একশো জনে নিরানব্বই জন মারা যাবে, যারা জীবিত থাকবে, তারা ভাববে বোধহয় একা আমিই জীবিত আছি৷

(সহীহ মুসলিম,খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২১৯)


১২/২/২০১৩এ একটা রিপোর্টে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, নাসার গবেষকেরা এবং ক্যালফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি লক্ষ করছে, গত ১০বছরে ১১৭লক্ষ একর খাদের পানি শুকিয়ে গেছে৷

অর্থাত এই নদীর পানি শুকানোটা হচ্ছে কেয়ামতের কয়েকটি আলামতের মধ্যে অন্যতম একটি আলামত৷


ওহে মুসলিম তুমি ঘুমাচ্ছো কেনো?

তোমার কি এখনো সময় হয়নি তোমার প্রভুর ডাকে সাড়া দেওয়ার।


ইয়া রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকেই ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন।

আমিন 🤲🤲



পবিত্র কোরআনের ৯৯ নির্দেশনাঃ

 



পবিত্র কোরআনের ৯৯ নির্দেশনাঃ


০১. কথাবার্তায় কর্কশ হবেন না। (০৩ঃ১৫৯)

০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন (০৩ঃ১৩৪)।

০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। (০৪ঃ ৩৬)

০৪. অহংকার করবেন না। (০৭ঃ ১৩)

০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করুন (০৭ঃ ১৯৯)

০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন। (২০ঃ ৪৪)

০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। (৩১ঃ ১৯)

০৮. অন্যকে উপহাস করবেন না (৪৯ঃ ১১)

০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন। (১৭ঃ ২৩)

১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। (১৭ঃ ২৩)

১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ৫৮)

১২. ঋণ গ্রহণ করলে তা লিখে রাখুন। (০২ঃ ২৮২)

১৩. কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। (০২ঃ ১৭০)

১৪. ঋণ গ্রহণকারীর কঠিন পরিস্থিতিতে পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিন। (২ঃ ২৮০)

১৫. কখনো সুদের সাথে জড়িত হবেন না। (০২ঃ ২৭৫)

১৬. কখনো ঘুষের সাথে জড়িতে হবেন না। (০২ঃ১৮৮)

১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। (০২.১৭৭)

১৮. আস্থা রাখুন (০২ঃ ২৮৩)

১৯. সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করবেন না। (২:৪২)

২০. ইনসাফের সাথে বিচার করবেন। (০৪ঃ ৫৮)

২১. ন্যায়বিচারের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যান। (০৪: ১৩৫)

২২. মৃতদের সম্পদ তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুষ্ঠভাবে বিতরণ করুন। (০৪ঃ ০৭)

২৩. মহিলাদের উত্তরাধিকারের অধিকার আদায় করুন। (০৪ঃ ০৭)

২৪. এতিমদের সম্পত্তি গ্রাস করবেন না। (০৪.১০)

২৫. এতিমদের রক্ষা করুন। (০২.২২০)

২৬. অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করবেন না। (০৪ঃ ২৯)

২৭. মানুষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করুন। (৪৯ঃ ০৯)

২৮. সন্দেহ এড়িয়ে চলুন। (৪৯ঃ ১২)

২৯. গুপ্তচরবৃত্তি করবেন না, কুৎসা রটাবেন না। (৪৯ঃ ১২)

৩০. আল্লাহর বিধানুসারে বিচার করুন। (০৫ঃ ৪৫)

৩১. সাদাকাতে সম্পদ ব্যয় করুন। (৫৭ঃ০৭)

৩২.দরিদ্রকে খাবার খাওয়ান। (১০৭ঃ ০৩)

৩৩. অভাবীকে অভাব পূরুনের উপায় বাতলে দিন। (০২ঃ ২৭৩)

৩৪. অপব্যয় করবেন না। (১৭ঃ ২৯)

৩৫. খোঁটা দিয়ে দানকে নষ্ট করে দিবেন না। (০২ঃ ২৬৪)

৩৬. অতিথিকে সম্মান করুন। (৫১ঃ ২৬)

৩৭. কেবলমাত্র নিজে আমল করে তারপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যকে আমল করার আদেশ দিবেন। (০২ঃ৪৪)

৩৮. কাউকে গালাগালি করবেন না। (০২ঃ ৬০)

৩৯. লোকজনকে মসজিদে যেতে বাধা দিবেন না। (০২ঃ ১৪৪)

৪০. কেবল তাদের সাথেই লড়াই করুন, যারা আপনার সাথে লড়াই করে (০২ঃ ১৯০)

৪১. যুদ্ধের শিষ্টাচার মেনে চলুন। (০২ঃ ১৯১)

৪২. যুদ্ধেংদেহী হবেন না। (০৮ঃ১৫)

৪৩. দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। (০২ঃ ২৫৬)

৪৪. সকল নবির উপর ঈমান আনুন। (২: ২৮৫)

৪৫. স্ত্রীর মাসিকের সময় যৌন মিলন করবেন না। (০২ঃ ২২২)

৪৬. আপনার শিশুকে পূর্ণ দুবছর বুকের দুধ খাওয়ান। (০২ঃ ২৩৩)

৪৭. অননুমোদিত উপায়ে যৌন মিলন করবেন না। (১৭ঃ ৩২)

৪৮. যোগ্যতা অনুসারে নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করুন। (০২ঃ ২৪৭)

৪৯. কোনো ব্যক্তিকে সামর্থ্যের বাহিরে বেশি বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। (০২ঃ ২৮৬)

৫০. বিভক্তি উসকে দিবেন না। (০৩ঃ ১০৩)

৫১. মহাবিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করুন (৩: ১৯১)

৫২. আমল অনুযায়ী পুরুষ ও মহিলাদের সমান পুরষ্কার পাবেন; তাই আমল করুন। (৩: ১৯৫)

৫৩. 'মাহরাম' আত্মীয়কে বিবাহ করবেন না। (০৪ঃ ২৩)

৫৪. পুরুষ হিসেবে মহিলাদের সুরক্ষা দিন। (০৪ঃ ৩৪)

৫৫. কৃপণ হবেন না । (০৪ঃ ৩৭)

৫৬. অন্তরে পরশ্রীকাতরতা পুষে রাখবেন না। (০৪ঃ ৫৪)

৫৭. একে অপরকে হত্যা করবেন না। (০৪ঃ ৯২)

৫৮. প্রতারণার পক্ষে ওকালতি করবেন না। (০৪ঃ ১০৫)

৫৯. পাপ কাজে এবং আগ্রাসনে সহযোগিতা করবেন না। (০৫ঃ০২)

৬০. সৎ কাজে সহযোগিতা করুন। (০৫ঃ ০২)

৬১. সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই কোনোকিছু সত্য বলে গ্রহণ করবেন না। ( ০৬ঃ ১১৬)

৬২. ন্যায়বিচার করুন। (০৫ঃ ০৮)

৬৩. অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। (০৫ঃ ৩৮)

৬৪. পাপ ও বেআইনী কাজের বিরুদ্ধে লড়াই করুন (০৫ঃ ৬৩)

৬৫. মৃত প্রাণী, রক্ত, শুকরের মাংস ভক্ষণ থেকে দূরে থাকুন। (০৫ঃ ০৩)

৬৬. মাদক এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন (৫:৯০)

৬৭. জুয়া খেলবেন না। (০৫ঃ ৯০)

৬৮. অন্য ধর্মের দেবদেবীদের অবমাননা করবেন না। (০৬ঃ ১০৮)

৬৯. ক্রেতাকে ঠকানোর উদ্দ্যেশ্যে মাপে কম দিবেন না। (০৬ঃ ১৫২)

৭০. খান এবং পান করুন; তবে অপচয় করবেন না। (০৭ঃ ৩১)

৭১. নামাজের সময় ভালো পোশাক পরিধান করুন। (০৭ঃ ৩১)

৭২. আশ্রয়প্রার্থীকে সুরক্ষা দিন, সহযোগিতা করুন। (০৯ঃ ০৬)

৭৩. বিশুদ্ধতাকে আঁকড়ে ধরুন। (০৯ঃ ১০৮)

৭৪. আল্লাহর রহমতের আশা কখনই পরিত্যাগ করবেন না। (১২ঃ ৮৭)

৭৫. অজ্ঞতাবশত ভুল করলে আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশা করুন। ( ১৬ঃ ১১৯)

৭৬. মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করুন হিকমা ও উত্তমভাবে। (১৬ঃ ১২৫)

৭৭. অন্যের পাপের বোঝা কাউকে বইতে হবে না, বিশ্বাস করুন। (১৭ঃ ১৫)

৭৮. দারিদ্র্যের ভয়ে আপনার বাচ্চাদের হত্যা করবেন না। (১৭ঃ ৩১)

৭৯. যে বিষয়ে জ্ঞান আপনার জ্ঞান নাই, সে বিষয়ে কারও পিছু লাগবেন না। (১৭ঃ ৩৬)

৮০. নিরর্থক কাজ থেকে দূরে থাকুন। (২৩ঃ ০৩)

৮১. অনুমতি না নিয়ে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ২৭)

৮২. যারা আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন, এই বিশ্বাস রাখুন। (২৪:৫৫)

৮৩. জমিনে নম্রভাবে চলাফেরা করুন। (২৫ঃ ৬৩)

৮৪. পৃথিবীতে আপনার অংশকে অবহেলা করবেন না। (২৮ঃ ৭৭)

৮৫. আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যকে ডাকবেন না। (২৮ঃ ৮৮)

৮৬. সমকামিতার ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হবেন না। (২৯ঃ ২৯)

৮৭. সৎ কাজের আদেশ দিন, অসৎ কাজে বাধা দিন। (৩১ঃ ১৭)

৮৮. জমিনের উপর দম্ভভরে ঘুরে বেড়াবেন না। (৩১ঃ ১৮)

৮৯. মহিলারা তাদের জাকজমকপূর্ণ পোষাক প্রদর্শন করে বেড়াবে না। (৩৩ঃ ৩৩)

৯০. আল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা করেন, বিশ্বাস রাখুন। (৩৯ঃ ৫৩)

৯১. আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না। (৩৯ঃ ৫৩)

৯২. ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করুন। (৪১ঃ ৩৪)

৯৩. পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। (৪২ঃ ১৩)

৯৪. সর্বোত্তম মানুষ হওয়ার লড়াই করুন। (৪৯ঃ ১৩)

৯৫. বৈরাগ্যবাদী হবেন না। ( ৫৭ঃ ২৭)

৯৬. জ্ঞান অন্বেষণে ব্যাপৃত হোন। ( ৫৮ঃ ১১)

৯৭. অমুসলিমদের সাথে সদয় এবং নিরপেক্ষ আচরণ করুন। (৬০ঃ ০৮)

৯৮. লোভ থেকে নিজেকে বাঁচান। (৬৪ঃ ১৬)

৯৯. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। (৭৩ঃ ২০)

Tuesday, May 10, 2022

অনুমান ও ধারনা করে কথা বলা, অন্যের দোষত্রুটি অন্বেষন করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম

 



يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّـهَ ۚ إِنَّ اللَّـهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ ﴿١٢﴾


১২. হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা সাধারণভাবে অন্যের ব্যাপারে আন্দাজ-অনুমান করা থেকে বিরত থাকো। আন্দাজ-অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুনাহের কাজ। অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে গোয়েন্দাগিরি কোরো না। কারো অনুপস্থিতিতে গীবত অর্থাৎ পরনিন্দা কোরো না। তোমরা কি মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে চাও? না, তোমরা তো তা ঘৃণা করো (গীবত করা মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সমান)। তোমরা সবসময় আল্লাহ-সচেতন থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরমদয়ালু।

 সূরা হুজুরাত 

আয়াত ১২


এই আয়াতেও পারস্পারিক হক ও সমাজিক নিয়ম নীতি  ব্যক্ত করা হয়েছে, এবং এতেও  তিনটি   বিষয় হারাম করা হয়েছে। এক) ( জন্নুন ) কোন কিছুর প্রতি ঢালাও ভাবে ধারনা করা। দুই) (তাজাছ্ছুছ ) অথাৎ কোন গোপনীয় দোষ সন্ধান করা। তিন) গীবিত করা অথাৎ, কোন অনুপস্থিত ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কথা বলা যা সে শুনলে অপছন্দ করবে।


প্রথম বিষয়ঃ- জুননুন এর অর্থ প্রবল ধারনা। এ সম্পর্কে কোরআন পাক বলেছে যে, তোমরা অনেক ধারনা থেকে বেচে থাক। এর পর কারণ স্বরুপ বলা হয়েছে, কতক ধারণা পাপ। 

এ থেকে জানা গেল যে, প্রত্যেক ধারনাই পাপ নয়। অতএব কোন কোন ধারনা পাপ,তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন বা ওয়াজিব হবে। যাতে তা থেকে আত্বরক্ষা করা যায়। এ পর্যায়ে আলেম ও ফেকাহ বিদগণ এর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। 

ইমাম কুরতুবী বলেনঃ ধারনা বলে এ স্থলে অপবাদ বোঝানো হয়েছে,অর্থাৎ কোন ব্যক্তির প্রতি শক্তিশালী প্রমান ছাড়া ধারনার উপর ভিত্তি করে দোষ চাপাইয়া দেওয়া জায়েজ নাই। ইমাম আবুবকর জাসসাস আহকামুল কোরআনে এর পুর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়েছেনতিনি বলেছেন 

ধারণা চার প্রকারঃ 

তার মধ্যে (১) প্রথম প্রকার হারাম। 

যেমন আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারনা রাখা যে, তিনি আমাকে শা¯িতই দিবেন বা বিপদেই রাখবেন। অর্থাৎ আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ না হওয়া, সব সময় আল্লাহর রহমতের আশা করা। এ প্রসঙ্গে জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম বলেছেন যে, তোমাদের কারও আল্লাহর প্রতি সুধারনা পোষন করা ছাড়া মৃত্যবরণ করা উচিৎ নয়। অন্য হাদিসে আছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন ঃ আমি আমার বান্দার সাথে তেমনি ব্যবহার করি, যেমন আমার বান্দা আমার প্রতি ধারনা রাখে।এখন বান্দার ইচ্ছা তারা আমার প্রতি কি ধারনা রাখতে চায় রাখুক।২২এ থেকে জানা যায় যে,আল্লাহর প্রতি ভাল ধারনা পোষণ করা ফরজ এবং কুধারণা পোষণ করা হারাম। এমনি ভাবে যে সব মুসলমান প্রকাশ্য ভাবে নেক কার বলে দৃষ্টিগোচর হয় তাদের সম্পর্কে প্রমান ছাড়া কু-ধারণা পোষণ করা হারাম।হযরত আবু হুরাইরা রাঃ হু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম বলেছেন যে, তোমরা ধারণা থেকে বিরত থাক, কেননা, কতক ধারণা মিথ্যা কথার নামান্তর। এখানে সবার মতে ধারণা বলে প্রমান ছাড়া মুসলমানের প্রতি কুধারণা বোঝানো হয়েছে।

(২) ধারণার দ্বিতীয় প্রকার ওয়াজিব, 

যেমন কোন কাজের বা কোন বিচার ফয়সালার যে কোন এক দিকে রায় দিতে হবে, এ ব্যাপারে কোরআন হাদিসের  সুস্পষ্ট কোন প্রমান পাওয়া যাইতেছেনা। সেখানে প্রবল ধারনা অনুযায়ী আমল করা বা রায় দেওয়া ওয়াজিব। যেমন পাস্পারিক বিবাদ ও মামলা মোকাদ্দমার ফয়সালায় শাক্ষিদের শাক্ষ্য অনুযায়ী রায় দেওয়া হয়। এখানে কে সঠিক শাক্ষি দিতেছে তা নির্ধারন করার কোন যন্ত নাই। তাই সেখানে শাক্ষিদের উপর প্রবল ধারনা প্রয়োগ করে বিচার ফয়সালা করতে হয়। অনেক সময় ভাল চেহারা ওয়ালা লোক মিথ্যা শাক্ষি দেয়, ধরার কোন উপায় নাই। তার সত্যবাদিতা নিছক একটা প্রবল ধারণা মাত্র। তাই এখানে প্রবল ধারণার উপর কাজ করা ওয়াজিব। এমনি ভাবে কেউ যদি অজানা যায়গায় যাইয়া উপস্থিত হয়, কেবলা কোন দিকে তা জানেনা, এবং জেনে নেওয়ার মত কোন লোক পাওয়া না যায়। সেখানে নিজের প্রবল ধারণা অনুযায়ী  কেবলা নির্ধারণ করে নামাজ পরা ওয়াজিব।এমনি ভাবে কোন ব্যক্তির উপর কোন বস্তুর ক্ষতিপূরণ দেয়া ওয়াজিব হলে, সেই বস্তুর মুল্য নির্ধারণের ব্যাপারেও প্রবল ধারণা অনুযায়ী মুল্য নির্ধারণ করা ওয়াজিব। 

(৩) ধারণা করা জায়েজ ঃ

-যেমন নামাযের রাকআত সম্পর্কে সন্দেহ হল যে, তিন রাকআত পড়া হয়েছে, না চার রাকআত। এমত- অবস্থায় প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করা জায়েজ।(৪) ধারণা করা মুস্তাহাবঃ-যেমন প্রত্যেক মুসলমানের উপর সু ধারণা রাখা মুস্তাহাব। দলিল প্রমান ছাড়া বদ ধারণা রাখা হারাম। সাধারণ ভাবে সু ধারণা রাখতে হবে। বাকী ফয়সালা আল্লাহর জিম্মায়ায় থাকবে।

মহান আল্লাহ সবাইকে বোঝার আমল করার তৌফিক দিন আমিন .. 


দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত

  দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত কাজী দেলোয়ারুল আজীম । Kazi Dalwarul Azim  আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত ন...