Tuesday, May 10, 2022

অনুমান ও ধারনা করে কথা বলা, অন্যের দোষত্রুটি অন্বেষন করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম

 



يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّـهَ ۚ إِنَّ اللَّـهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ ﴿١٢﴾


১২. হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা সাধারণভাবে অন্যের ব্যাপারে আন্দাজ-অনুমান করা থেকে বিরত থাকো। আন্দাজ-অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুনাহের কাজ। অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে গোয়েন্দাগিরি কোরো না। কারো অনুপস্থিতিতে গীবত অর্থাৎ পরনিন্দা কোরো না। তোমরা কি মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে চাও? না, তোমরা তো তা ঘৃণা করো (গীবত করা মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সমান)। তোমরা সবসময় আল্লাহ-সচেতন থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরমদয়ালু।

 সূরা হুজুরাত 

আয়াত ১২


এই আয়াতেও পারস্পারিক হক ও সমাজিক নিয়ম নীতি  ব্যক্ত করা হয়েছে, এবং এতেও  তিনটি   বিষয় হারাম করা হয়েছে। এক) ( জন্নুন ) কোন কিছুর প্রতি ঢালাও ভাবে ধারনা করা। দুই) (তাজাছ্ছুছ ) অথাৎ কোন গোপনীয় দোষ সন্ধান করা। তিন) গীবিত করা অথাৎ, কোন অনুপস্থিত ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কথা বলা যা সে শুনলে অপছন্দ করবে।


প্রথম বিষয়ঃ- জুননুন এর অর্থ প্রবল ধারনা। এ সম্পর্কে কোরআন পাক বলেছে যে, তোমরা অনেক ধারনা থেকে বেচে থাক। এর পর কারণ স্বরুপ বলা হয়েছে, কতক ধারণা পাপ। 

এ থেকে জানা গেল যে, প্রত্যেক ধারনাই পাপ নয়। অতএব কোন কোন ধারনা পাপ,তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন বা ওয়াজিব হবে। যাতে তা থেকে আত্বরক্ষা করা যায়। এ পর্যায়ে আলেম ও ফেকাহ বিদগণ এর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। 

ইমাম কুরতুবী বলেনঃ ধারনা বলে এ স্থলে অপবাদ বোঝানো হয়েছে,অর্থাৎ কোন ব্যক্তির প্রতি শক্তিশালী প্রমান ছাড়া ধারনার উপর ভিত্তি করে দোষ চাপাইয়া দেওয়া জায়েজ নাই। ইমাম আবুবকর জাসসাস আহকামুল কোরআনে এর পুর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়েছেনতিনি বলেছেন 

ধারণা চার প্রকারঃ 

তার মধ্যে (১) প্রথম প্রকার হারাম। 

যেমন আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারনা রাখা যে, তিনি আমাকে শা¯িতই দিবেন বা বিপদেই রাখবেন। অর্থাৎ আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ না হওয়া, সব সময় আল্লাহর রহমতের আশা করা। এ প্রসঙ্গে জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম বলেছেন যে, তোমাদের কারও আল্লাহর প্রতি সুধারনা পোষন করা ছাড়া মৃত্যবরণ করা উচিৎ নয়। অন্য হাদিসে আছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন ঃ আমি আমার বান্দার সাথে তেমনি ব্যবহার করি, যেমন আমার বান্দা আমার প্রতি ধারনা রাখে।এখন বান্দার ইচ্ছা তারা আমার প্রতি কি ধারনা রাখতে চায় রাখুক।২২এ থেকে জানা যায় যে,আল্লাহর প্রতি ভাল ধারনা পোষণ করা ফরজ এবং কুধারণা পোষণ করা হারাম। এমনি ভাবে যে সব মুসলমান প্রকাশ্য ভাবে নেক কার বলে দৃষ্টিগোচর হয় তাদের সম্পর্কে প্রমান ছাড়া কু-ধারণা পোষণ করা হারাম।হযরত আবু হুরাইরা রাঃ হু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম বলেছেন যে, তোমরা ধারণা থেকে বিরত থাক, কেননা, কতক ধারণা মিথ্যা কথার নামান্তর। এখানে সবার মতে ধারণা বলে প্রমান ছাড়া মুসলমানের প্রতি কুধারণা বোঝানো হয়েছে।

(২) ধারণার দ্বিতীয় প্রকার ওয়াজিব, 

যেমন কোন কাজের বা কোন বিচার ফয়সালার যে কোন এক দিকে রায় দিতে হবে, এ ব্যাপারে কোরআন হাদিসের  সুস্পষ্ট কোন প্রমান পাওয়া যাইতেছেনা। সেখানে প্রবল ধারনা অনুযায়ী আমল করা বা রায় দেওয়া ওয়াজিব। যেমন পাস্পারিক বিবাদ ও মামলা মোকাদ্দমার ফয়সালায় শাক্ষিদের শাক্ষ্য অনুযায়ী রায় দেওয়া হয়। এখানে কে সঠিক শাক্ষি দিতেছে তা নির্ধারন করার কোন যন্ত নাই। তাই সেখানে শাক্ষিদের উপর প্রবল ধারনা প্রয়োগ করে বিচার ফয়সালা করতে হয়। অনেক সময় ভাল চেহারা ওয়ালা লোক মিথ্যা শাক্ষি দেয়, ধরার কোন উপায় নাই। তার সত্যবাদিতা নিছক একটা প্রবল ধারণা মাত্র। তাই এখানে প্রবল ধারণার উপর কাজ করা ওয়াজিব। এমনি ভাবে কেউ যদি অজানা যায়গায় যাইয়া উপস্থিত হয়, কেবলা কোন দিকে তা জানেনা, এবং জেনে নেওয়ার মত কোন লোক পাওয়া না যায়। সেখানে নিজের প্রবল ধারণা অনুযায়ী  কেবলা নির্ধারণ করে নামাজ পরা ওয়াজিব।এমনি ভাবে কোন ব্যক্তির উপর কোন বস্তুর ক্ষতিপূরণ দেয়া ওয়াজিব হলে, সেই বস্তুর মুল্য নির্ধারণের ব্যাপারেও প্রবল ধারণা অনুযায়ী মুল্য নির্ধারণ করা ওয়াজিব। 

(৩) ধারণা করা জায়েজ ঃ

-যেমন নামাযের রাকআত সম্পর্কে সন্দেহ হল যে, তিন রাকআত পড়া হয়েছে, না চার রাকআত। এমত- অবস্থায় প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করা জায়েজ।(৪) ধারণা করা মুস্তাহাবঃ-যেমন প্রত্যেক মুসলমানের উপর সু ধারণা রাখা মুস্তাহাব। দলিল প্রমান ছাড়া বদ ধারণা রাখা হারাম। সাধারণ ভাবে সু ধারণা রাখতে হবে। বাকী ফয়সালা আল্লাহর জিম্মায়ায় থাকবে।

মহান আল্লাহ সবাইকে বোঝার আমল করার তৌফিক দিন আমিন .. 


Wednesday, April 13, 2022

অন্যের দোষ তালাশ কারীর পরকাল বিপদগ্রস্ত ।




মানুষের একটি বদ স্বভাব হলো, সে নিজের দোষ দেখে না। কেবল অন্যের দোষই তার নজরে পড়ে। এর প্রতিকারের জন্য নিজের দোষ-ত্রুটির প্রতি লক্ষ করতে হবে। সে সম্পর্কে জানতে হবে। প্রবৃত্তির কুট-কৌশলের ব্যাপারে অবগত হতে হবে। ভ্রমণ এবং পর্যটন করা, নেককার লোকদের সংস্পর্শ গ্রহণ করা ও তাদের আদেশ মাথা পেতে মেনে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

নিজেকে সংশোধনের জন্য এসব পদ্ধতি অবলম্বন করতে যদি না-ও পারে, অন্তত অন্যের দোষ-ত্রুটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। দোষী ব্যক্তিকে মাযুর ও অক্ষম মনে করে তার দোষটা ঢেকে রাখতে হবে। আশা করা যায় এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার নিজের দোষ-ত্রুটিগুলো সংশোধন করে দিবেন। 
আল্লাহর নবি—সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—বলেছেন, 
مَنْ سَتَرَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ، سَتَرَ اللَّـهُ عَوْرَتَهُ
“যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের দোষত্রুটি গোপন রাখবে আল্লাহ তাআলা তার দোষ-ত্রুটি আড়াল করে রাখবেন।” 
আল্লাহর রাসূল—সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—আরও বলেছেন,
مَنْ تَتَبَّعَ عَوْرَةَ أَخِيهِ تَتَبَّعَ اللَّـهُ عَوْرَتَهُ، وَمَنْ تَتَبَّع اللَّـهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ فِي جَوْفِ بَيْتِهِ
“যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ খুঁজেখুঁজে বের করে, আল্লাহ তাআলা-ও তার দোষ খুঁজেখুঁজে বের করবেন এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে তাকে অপদস্থ করবেন। যদিও সে আপন ঘরের মধ্যস্থলে অবস্থান করে।” 
আমি মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ বিন সাযানকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি ইবনু ইয়াযদান মাদাঈনিকে বলতে শুনেছি, ‘আমি এমন অনেক মানুষকে দেখেছি, যাদের বহু দোষ-ত্রুটি ও মন্দ স্বভাব ছিলো। কিন্তু তারা অন্যদের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখার ফলে আল্লাহও তাদের দোষ-ত্রুটি গোপন রেখেছেন। অবশেষে এক সময়ে তাদের সেসব দোষ-ত্রুটি ও মন্দ স্বভাব বিদূরিত হয়ে যায়। আবার এমন লোকদেরকেও দেখেছি, যাদের তেমন দোষ-ত্রুটি ও মন্দ স্বভাব ছিলো না। কিন্তু তারা অন্যদের দোষচর্চায় লিপ্ত হবার দরুন নিজেরাও সেসবে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।’

অহেতুক দোষ প্রকাশ নিন্দনীয় : 
মানবচরিত্রের একটি দুর্বল দিক হলো অন্যের দোষ চর্চা করা। মানুষ নিজের ব্যাপারে সুধারণা রাখে, নিজেকে নির্দোষ ভাবে। আর অপরের দোষ চর্চা করে বেড়ানো লাভজনক কারবার মনে করে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘আল্লাহ কোনো মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী এবং বিজ্ঞ।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৮)

জুলুম ও অন্যায় প্রকাশ করা যাবে : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহ পছন্দ করেন না যে আমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে বদ দোয়া করি বা মন্দ বিষয় প্রকাশ করি, যদি না আমাদের ওপর অন্যায় করা হয়। তবে যদি কারো ওপর জুলুম করা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আল্লাহর অনুমতি রয়েছে। তার পরও ধৈর্য ধারণ করাই উত্তম। (তাফসিরে ইবনে কাসির)

মানুষের গুনাহ করা স্বাভাবিক : ভুলত্রুটি, গুনাহ করা মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাস। মানুষ হিসেবে ভুলত্রুটি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে তা কারো ধারে প্রকাশ না করা। যে অন্যের দোষ গোপন করে, বিশ্বনবী (সা.) তার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে অন্যের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৯)

অন্যের দোষ চর্চায় পরকালে লাঞ্চনা : বিপরীতে যারা অন্যের দোষ প্রচার করে, তাদের ব্যাপারে বলেছেন, ‘তোমরা মুসলমানদের দোষত্রুটি, ভুলভ্রান্তি খুঁজে বের কোরো না। যে ব্যক্তি অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায় ও প্রকাশ করে দেয়, স্বয়ং আল্লাহ তার দোষ প্রকাশ করে দেন। আর আল্লাহ যার দোষত্রুটি প্রকাশ করেন, তাকে নিজের বাড়িতেই লাঞ্ছিত করেন।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৮৮০)

দোষ গোপন করায় যে সওয়াব : সাহাবিরা পরের দোষ চর্চা করা অপছন্দ করতেন। একবার উকবা ইবনে আমির (রা.)-এর কাছে তাঁর কাজের কেরানি বলল, আমার প্রতিবেশী লোকটা মদপান করে। আমি তাকে বারণ করেছি; কিন্তু সে বিরত হয়নি। তাই এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাকে পুলিশে দেব।  উকবা (রা.) বলেন, অপেক্ষা করো। কেরানি পুনরায় এ কথা বলল। তিনি আবার বলেন, উপেক্ষা করে যাও। আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি অন্যের দোষ ঢেকে রাখে, সে ব্যক্তির মর্যাদা এমন ব্যক্তির মর্যাদার মতো, যিনি জীবন্ত দাফনকৃত কোনো শিশুকে উদ্ধার করে বাঁচিয়ে দেন। (সুনানে আবি দাউদ)

পাপ গোপনের নির্দেশনা : আবু বকর (রা.)-এর কাছে এক ব্যক্তি হাজির হয়ে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার স্বীকারোক্তি দেয়। আবু বকর (রা.) বলেন, কথাটি আর কারো কাছে বলেছ কি? লোকটি বলল, না। তিনি বলেন, আল্লাহর দরবারে তাওবা করো এবং তোমার স্বীকারোক্তি আল্লাহর পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখো। আবু বকরের পরামর্শে লোকটির প্রশান্তি এলো না। সে ওমর (রা.)-এর কাছে ছুটে গেল। তখন ওমর (রা.) তাকে একই পরামর্শ দেন। (মুয়াত্তা মুহাম্মদ)

তথ্য ৈসূত্রঃ (আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী এর আত্মশুদ্ধি বই থেকে নেওয়া)

ভালো লাগলে শেয়ার করুন । 


 

Sunday, March 27, 2022

আয়তুল কুরছির ফজিলত



 আয়াতুল কুরসির ফজিলত



১। আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে 

৭০,০০০ ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।

২। এটি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ

করতে পারেনা।

৩। এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা

তাকে পাহারা দেন।

৪। ফরজ নামাযের পর পড়লে তার আর বেহেস্তের 

মধ্য একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলো মৃত্য।

এবং মৃত্য আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়।

৫। ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।(সহীহ হাদিস)

৬। জান্নাতের দরজা: আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল নুরে মুজাসসাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী]

৭। হজরত আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ 

কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি

এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ 

তার ঘরে,প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বায়হাকী]

৮। মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব 

ইবনে জানাদাহ রা. রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী]

৯। উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। [সহীহ মুসলিম]

১০। যে দোয়া পড়লে মৃত্যুর আযাব হবে পিপড়ার কামড়ের সমান।

সুবহানাল্লাহ। 

সংগৃহীত

দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত

  দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত কাজী দেলোয়ারুল আজীম । Kazi Dalwarul Azim  আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত ন...