Sunday, November 29, 2020

হযরত আয়েশা রা: সম্পর্কে একটু কথা

আয়েশা সিদ্দীকা রা.-এর কোনও সন্তান ছিল না। যতদূর জানি, তিনি সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন, এমন কোনো তথ্যও হাদীসে নেই। নবীজির ঘরে খাদীজা রা.-এর ছয়টা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল। চার কন্যা, দুই ছেলে। এটা দেখে আয়েশা রা.-এর মনেও আশা জাগা বিচিত্র কিছু ছিল না, আমারও সন্তান হোক!
.
কিন্তু তিনি সন্তানের জন্যে দু‘আ করেছেন বা নবীজির কাছে দু‘আ চেয়েছেন এমন কোনও নজীর হাদীসে নেই বলেই জানি। অথচ তিনি ছিলেন নবীজির প্রিয়তম স্ত্রী। সন্তান চাওয়া অন্যায় কোনও কিছু নয়। নবীজিকে বললেই হত। তিনি আল্লাহর কাছে দু‘আ করতেন। আয়েশা রা. এমনটা করেন নি।
.
নবীজি যখন ইন্তেকাল করেন, তখন আয়েশা রা.-এর বয়স আঠার। তিনি ইন্তেকাল করেছেন ৫৮ হিজরীতে। তার মানে নবীজির পরও তিনি প্রায় ৪৭ বছর বেঁচে ছিলেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি স্বামী সন্তান ও সংসার ছাড়াই কাটিয়ে দিয়েছেন।
.
কখনো সন্তান বা সংসারের জন্যে আক্ষেপ করেছেন, এমন কোনও প্রমাণ নেই। তিনি ইলমচর্চা, ইবাদত-বন্দেগী, শিক্ষকতা-ফতোয়াপ্রদান করেই পুরো সময়টা কাটিয়ে দিয়েছেন। বড় বড় সাহাবী তার কাছ থেকে পাঠ নিয়েছেন। মদীনার সমস্ত মহিলাকুলের শিক্ষিকা ছিলেন।
💚
সন্তান না হলে একটা মেয়ের জীবন থেমে থাকে না। স্বামী মারা গেলে একটা মেয়ের জীবন চূড়ান্ত থমকে যায় না। মা-বাবা মারা গেলে একটা মেয়ের জীবন স্থবির হয়ে পড়ে না। সংসার না হলেই একটা মেয়ের জীবন অর্থহীন হয়ে যায় না।
.
আল্লাহ তা‘আলা যা ছিনিয়ে নেন, তার চেয়ে উত্তম কিছু বান্দাকে দান করেন। দুনিয়া পরীক্ষার স্থান। কেউই এখানে পরীক্ষা দেয়া ছাড়া থাকতে পারে না।
.
আয়েশা রা. বিষয়টা ভালভাবে জানতেন এবং কর্মের মাধ্যমে তা মেনে দেখিয়েও গেছেন। জীবনকে তিনি জনকল্যাণে ব্যয় করে গেছেন। আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থেকেছেন। সবর-শোকরের সাথে জীবন কাটিয়ে গেছেন। কুরআন কারীমকে সাথী বানিয়েছেন, হাদীসচর্চাকে জীবনের অনুষঙ্গ বানিয়েছেন! 💞  
.
আম্মাজান আয়েশা, খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) যেনো আমাদের আদর্শ হয়। কোন নায়ক,নায়িকা,গায়ক,  গায়িকা মডেল-অভিনেত্রী যেন আমাদের আদর্শ না হয়...
🕳️
আর যখনই আশাহত হবেন তখনই এই আয়াতটা মনে করবেন -
وَّ یَرۡزُقۡہُ  مِنۡ حَیۡثُ لَا یَحۡتَسِبُ ؕ وَ مَنۡ  یَّتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ  فَہُوَ حَسۡبُہٗ ؕ اِنَّ اللّٰہَ  بَالِغُ  اَمۡرِہٖ ؕ قَدۡ جَعَلَ اللّٰہُ  لِکُلِّ شَیۡءٍ  قَدۡرًا

"এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। "
(সূরা তালাক্ব:৩)

*লিখাটি নামাজ নামক পেজ থেকে নেয়া। এর মূল লেখককে আল্লাহ উত্তম বিনিময় দিন।

Thursday, May 28, 2020

বিজ্ঞানের আবিষ্কার ও ১৪০০ বছর আগের কুরআন ।

বিজ্ঞানের আবিষ্কার ও ১৪০০ বছর আগের কুরআন ।


1️⃣ বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই।
(সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে কোরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে)

2️⃣ বিজ্ঞান মাত্র দুশো বছর আগে জেনেছে চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষ পথে ভেসে চলে
(সূরা আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে কোরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে)

3️⃣ সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগেই জানানো হয়েছে; মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত।

4️⃣ ‘বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় মাত্র চল্লিশ বছর আগে। সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কোরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে।

5️⃣ পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান জেনেছে বেশি দিন হয় নি
(সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে)

6️⃣ বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে লবণাক্ত পানি ও মিষ্ঠি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না।
(২৫ সূরা ফুরকানের ৫৩ নং আয়াতে কোরআন এই কথা বলেছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে)

7️⃣ ইসলাম আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত করেছে; বিজ্ঞান এখন বলছে ডান দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট সব থেকে ভাল থাকে ।

8️⃣ বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত দেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ্ধতি আছে।
(কোরআনের সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮ নং আয়াতে এই বিষয়ে ধারণা দেয়)

9️⃣ ইসলাম মদ পানকে হারাম করেছে , চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মদ পান লিভারের জন্য ক্ষতিকর ।

🔟 ইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে। বিজ্ঞান আজ বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

1️⃣1️⃣ রক্ত পরিসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র কয়েক বছর আগে।
(সূরা মুমিনূনের ২১ নং আয়াতে কোরআন এই বিষয়ে বর্ণনা করে গেছে)

1️⃣2️⃣ মানুষের জন্ম তত্ব ভ্রুন তত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞান জেনেছে এই কদিন আগে।
(সূরা আলাকে কোরআন এই বিষয়ে জানিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে)

1️⃣3️⃣ ভ্রুন তত্ব নিয়ে বিজ্ঞান আজ জেনেছে পুরুষই ( শিশু ছেলে হবে কিনা মেয়ে হবে) তা নির্ধারণ করে। ভাবা যায়য়. (কোরআন এই কথা জানিয়েছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে।
(সূরা নজমের ৪৫, ৪৬ নং আয়াত, সূরা কিয়ামাহ’র ৩৭- ৩৯ নং আয়াত)

1️⃣4️⃣ একটি শিশু যখন গর্ভে থাকে তখন সে আগে কানে শোনার যোগ্যতা পায় তারপর পায় চোখে দেখার। ভাবা যায়? প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগের এক পৃথিবীতে ভ্রুনের বেড়ে ওঠার স্তর গুলো নিয়ে কোরআন বিস্তর আলোচনা করে। যা আজ প্রমাণিত !
(সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ , ৭৬ সূরা ইনসান আয়াত নং ২)

1️⃣5️⃣ পৃথিবী দেখতে কেমন? এক সময় মানুষ মনে করত পৃথিবী লম্বাটে, কেউ ভাবত পৃথিবী চ্যাপ্টা, সমান্তরাল... কোরআন প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে জানিয়ে
গেছে পৃথিবী দেখতে অনেকটা উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।

1️⃣6️⃣ পৃথিবীতে রাত এবং দিন বাড়া এবং কমার রহস্য মানুষ জেনেছে দুশ বছর আগে।
(সূরা লুকমানের ২৯ নং আয়াতে কুরআন এই কথা জানিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শত বছর আগে)

আমাদের সমস্যা হল আমরা সব কিছুই জানি... যারা নাস্তিক তারাও জানে... পার্থক্যটা হল 'বোধ' যেমন ধরুন একজন নেশাকর জানে যে নেশা করলেই তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, যে ছেলে বাবা কে খুন করেছে সে জানে যে এই মানুষটি তাকে জন্ম দিয়েছে... সব জেনে শুনেই আমরা সব থেকে খারাপ কাজ গুলো করি...ব্যাপারটা অজ্ঞানতার না ব্যাপারটা 'বোধ' এর। আপনার  আমার এই বোধটা থাকতে হবে।

আল্লাহ্ বলেন..
ঐ ব্যাক্তির কথার চেয়ে কার কথা উওম যে নিজে সৎকর্ম করে এবং অন্যকে সৎকর্মের জন্য আহবান করে।
__________(সূরা হা-মিম সিজদাহ্-৩৩)        
                                                                                                    মুসলিম ভাই ও বোনদের প্রতি আহব্বান জানাই আসুন আমরা সবাই অর্থ বুজে কোরআন শিখি ও তেলাওয়াত করি ও আমাদের ছোট সোনামনিদের কুরআন মজিদ  শিক্ষা দেই।                                                             আল্লাহ্ সুবাহানাহু তা'য়ালা আমাদের কে কোরআন শিখার ও বেশি বেশি করে তেলাওয়াত করার তৌওফিক দান করুন- আমীন।

Thursday, May 14, 2020

জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা


ইসলাম ডেস্ক-রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মিলে প্রতি’দানের অফুরন্ত সওয়াব। নেকি-পুন্যে ভারি হয় আমলের থলি। প্রতি’টি রোজা পালনের মাঝ দিয়ে আল্লাহর আনুগ’ত্যের পরিচয় দেয় বান্দা।
এর বিনিময়ে দয়া, অনুগ্রহ, রহমত, বরকতে পরিপূর্ণ করে দেয়া হয় আনুগত্যশীল বান্দাকে। রোজা শুধু আল্লাহর জন্য এবং তিনিই এ রোজার আমলের প্রতিদান দান করবেন ম’র্মে এক হাদিসে কুদ’সিতে ইরশাদ করেছেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম -২৭৬০)।
এ হাদিস দ্বা’রা আমরা অনুধাবন করতে পারি, যাবতীয় নেক আমলের মাঝে রোজা রাখার গুরুত্ব আল্লাহর কাছে এতো বেশি যে, তিনি নিজেই রোজার প্রতিদান প্রদানের প্রতি’শ্রুতি দিয়েছেন। আর এ জন্যই বি’খ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) যখন বলেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে অতি উত্তম কোনো নেক আমলের নির্দেশ দিন। রাসূল (সা.) বলেছিলেন, তুমি রোজা রাখো। কারণ এর সমমর্যাদার আর কোনো আমল নেই। (নাসায়ি-২৫৩৪)।
এছাড়া রাসূল (সা.) বলেছেন, মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আ’ল্লাহ তায়ালা বলেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কেননা, রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম-১৫৫১)।
রোজা জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল স্বরুপ :
হাদিসে এসেছে, রোজা হলো ঢাল ও জা’হান্না’মের আগুন থেকে বাঁচার মজবুত দুর্গ।(মুসনাদে আহমদ-৯২১৪)। আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য এক দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরিফ (৭০ বছরের) দূরত্বে সরি’য়ে দেবেন। (মুসলিম-২৭৬৯)।
জান্নাত লাভের মাধ্যম হলো রোজা :
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, জান্নাতের একটি দরজা রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। কিয়া’মতের দিন রোজাদাররাই শুধু সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সেদিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং সে দ’রজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। ফলে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি-১৭৯৭)।
রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়েও উত্তম :
নবী করিম (সা.) বলেন, যার হাতে মুহাম্মাদ (সা.) এর জীবন, সে স’ত্তার শপথ, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তায়ালার কাছে মেশকের ঘ্রাণ থেকেও প্রিয়। (বুখারি-১৭৯০)।
কিয়ামতের দিন রোজা সুপারিশ করবে :
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সু’পারিশ করবে যে রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পা’নাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যা’পারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে, হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রে’খেছি, তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, ‘এরপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে।(মুসনাদে আহমদ-৬৬২৬)।
রোজার মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয় :
মানুষ যখন পরি’বার-পরিজন, প্রতিবেশী ও ধন-সম্পদের কারণে গুনাহ করে ফেলে, তখন নামাজ, রোজা, সদকা সে গুনাহগুলোকে মিটিয়ে দেয়। (বুখারি-১৭৯৫)। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারি-২০১৪)।
কিয়ামতের দিন রোজাদারদের আল্লাহ তায়ালা পানি পান করাবেন :
হজরত আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তায়ালা নিজে’র ওপর অবধারিত করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজা রাখার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন।
রোজাদারের দোয়া কবুল হয় :
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ইফতারের সময় রোজাদার যখন দোয়া করেন তখন তার দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। অর্থাৎ দোয়া কবুল কর হয়। (সুনানে ইবনে মাজাই, ১৭৫৩)।
এমাসে শয়তানকে শিকলবন্দী করা হয় :
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের আগন ঘটলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, তোমাদের নিকট বরকতময় মাস রমজান এসেছে। আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য এ মাসের রো’জা ফরজ করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজা’সমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জা’হান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শিকলে বন্দী করা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে এর কল্যান থেকে বিরত হলো, সে তো প্রকৃতপক্ষেই বিরত। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস-৭১৪৮ সুনানে নাসায়ী-হাদিস-২৪১৬)।
রমজানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস নেই :-
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালার কসম! মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমজান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা, মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস ৮৩৬৮)।
মুহাদ্দিসীনে কেরাম বলেন, মুমিন বান্দারা যাতে রমজান মা’সের অতি মূল্যবান ও বরকতপূর্ণ সময় নেক কাজে ব্যয় করতে পারে এবং মুনা’ফিকদের মতো খায়ের ও বরকত থেকে বিরত না থাকে, তাই আল্লাহ তায়ালা এ মাসের শুরু থেকেই সৃষ্টিজগতে এমন আবহ সৃষ্টি করেন, যা পুরো পরিবেশকেই রহমত-বরকত দ্বারা আচ্ছাদিত করে দেয় এবং মুমিনদের ইবাদত-বন্দেগি ও নেক আমলের উৎসাহ-উদ্দীপনা জোগাবে।
তাদের পূণ্য ও প্রতিদানের সুসংবাদ দিতে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং পাপাচার ও খারাপ কাজ হতে বিরত রাখতে জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। সব ধরনের ফিতনা-ফাসাদ ও অনিষ্ট হতে রক্ষা করতে কুমন্ত্রণাদাতা দুষ্টু জিন ও শয়তানদেরকে শিকল লাগিয়ে আবদ্ধ করা হয়। তারপর কল্যাণের পথে অগ্রগামী হওয়ার ও অন্যায় থেকে নিবৃত্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় একদিন রোজা রাখা :
হজরত হুযায়ফা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমার বু’কের সঙ্গে মিলিয়ে নিলাম, তারপর তিনি বললেন, যে ব্য’ক্তি লাইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে মৃত্যুবরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, যে ব্য’ক্তি আল্লা’হর সন্তুষ্টি কামনায় একদিন রোজা রাখবে, মৃত্যু পরে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর স’ন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোনো দান-সদকা করে; মৃ’ত্যু পর সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৩৩২৪)।
KDA বাংলা 

দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত

  দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত কাজী দেলোয়ারুল আজীম । Kazi Dalwarul Azim  আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত ন...