Monday, February 21, 2022

শিশু সন্তান মা বাবা কে জান্নাতে পৌচাবে



 শিশু অবস্থায় কোনো সন্তান মারা গেলে পরকালে তারা তাদের মুসলিম মাতা-পিতাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, ‘শিশু (অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী) মুসলিম সন্তানেরা জান্নাতের ‘শিশু খাদেম’ হবে। তারা তাদের মাতা-পিতাকে পেলে কাপড় ধরে টেনে জান্নাতে না নেওয়া পর্যন্ত ছাড়বে না।’ (মেশকাত : ১৭৫২)


গর্ভে যাদের সন্তান মারা যায়, তাদের জন্য প্রিয়নবীর ঘোষণা...  


ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! সন্তান গর্ভে মারা যাওয়ার পর মা যদি ধৈর্য ধরে, ঐ গর্ভস্থ সন্তান কিয়ামতের দিন তার মাকে তার নাড়ি দিয়ে জড়িয়ে-বেঁধে টেনে টেনে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে!

[ ইবনে মাজাহঃ ১৬০৯, মুসনাদে আহমাদঃ ২২০৯০, সহিহ সনদ] 


ছোট্ট বাবু তার মাকে আঁচল নয়, নাড়ি ধরে টানছে জান্নাতের দিকে... আহ! ভাবা যায় কি মনকাড়া হবে সে দৃশ্য...  আল্লাহু আকবার!  আল্লাহু আকবার!! 


শিশু বয়সে মৃত্যুবরণকারী সন্তানদের জান্নাতে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতির সঙ্গে উপমা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু হাসসান (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত আবু হুরায়রাকে (রা.) বললাম, ‘আমার দুটি সন্তান মারা গিয়েছে। আপনি কি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর থেকে থেকে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করবেন, যাতে আমরা অন্তরে সান্ত্বনা পেতে পারি?’ তখন আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, হ্যাঁ, আমি নবীজিকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘ছোট বয়সে মৃত্যুবরণকারী সন্তানেরা জান্নাতের প্রজাপতির মতো। তাদের কেউ যখন পিতা কিংবা পিতা-মাতা উভয়ের সঙ্গে মিলিত হবে, তখন তার পরিধানের কাপড় কিংবা হাত ধরবে, যেভাবে এখন আমি তোমার কাপড়ের আঁচল ধরেছি। এরপর সেই কাপড় কিংবা হাত আর পরিত্যাগ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তাকে তার মা-বাবাসহ জান্নাতে প্রবেশ না করাবেন। (মুসলিম : ৬৩৭০)

আর যারা গর্ভে লালন পালনের ভয়ে ইচ্চে করে হত্যা করে ঐ সন্তান মা বাবা কে পেলে কি করবে একটু ভাবুন । হত্যার আসামী করবে । 


সুতরাং সত্যিই গোনাহ ছাড়া মুমিনের কোনো বিপদও নেই। এবং হারানো বা আফসোসের কিছু নেই। বরং এগুলোর সবই আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ।


Thursday, November 4, 2021

আলেম ও হাফেজের মর্যাদা ।





 একজন আলেমর সম্মান মহান আল্লাহর কাছে অনেক ।

২. আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান :

জ্ঞানী ও মূর্খ কখনো সমান হতে পারে না। 


قا ل الله تبارك وتعا لى :

قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لا يعلمون ( الزمر 9- )


হে নবী আপনি বলে দিন, যে ব্যক্তি (কুরআন-সুন্নাহ তথা শরীয়াতের বিধান) জানে আর যে জানে না, তারা কি উভয়ে সমান গতে পারে? তার মানে কখনই সমান হতে পারে না।


০৩. যাদেরকে দ্বীন ইলমের জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদেরকে বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছে ঐসব লোকদের উপর, যারা তা জানে না।


قال الله سبحا نه وتعا لى :

*يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٌ (المجادلة-11) 


তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে দ্বীন ইসলামের জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদেরকে বিশেস সন্মান বা মর্যাদা দান করা হয়েছে।


ব্যাখ্যা :

আলোচ্য আয়াতে কারীমা দ্বারা একথা প্রতীয়মান হলো যে, ঈমান্দার ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যাদেরকে ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী করা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে বিশেষ সন্মানে ভূষিত করেছেন। অর্থাৎ- তাদের মস্তকে মর্যাদার বিশেষ মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন।


০৪. অন্য আয়াতে কারীমায় ইরশাদ হয়েছে-


قال الله تبارك وتعا لى :

* شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ( العمران-18)-


ইরশাদ হচ্ছে যে, আল্লাহ তায়লা স্বয়ং এ কথার উপর স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আল্লাহর স্বাক্ষ্যের পাশাপাশি একথার স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন ফেরেশ্তামন্ডলী ও ওলামায়ে কেরাম। আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন।


ব্যাখ্যা :

আলোচ্য আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তায়ালা তার সত্তার একত্ববাদের স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রথমে তিনি নিজে, দ্বিতিয় পর্যায়ে ফেরেশ্তামন্ডলী ও তৃতীয় পর্যায়ে ওলামায়ে কিরামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর দ্বারা একথা প্রতীয়মান হয় যে, মর্যাদার দিক থেকে (নাবী-রাসূল ব্যতিত) ফেরেশ্তাকুলের পরেই ওলামায়ে কেরামের অবস্থান।


০৫. আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ ফরমান : যারা ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী তথা আলিম, তারাই আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেন।


قا ل الله تعالى : 

* إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَماء – ( الفا طر -28 )


একমাত্র (ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী) আলিমগণই আমাকে ভয় করে থাকে।


০৬.আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ ফরমান :


قال الله تعا لى : 

• فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ( النحل-43)


তোমরা যারা জানো না, যারা জানে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।


০৭. একমাত্র আলিমগণই ভাল-মন্দ ও হক বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে। কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে :


• وَمَا يَعْقِلُهَا إِلَّا الْعَالِمُونَ-(العنكبوت- 43) 


একমাত্র আলেমগণই ভাল-মন্দ ও হক-বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে।


যরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'প্রতিটি মুসলিম পুরুষের উপর দ্বীনী ইলম শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ।' 


মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান: 'আল্লাহ তায়ালা যার জন্য বিশেষ কল্যাণ কামনা করেন, তাকে দ্বীনী জ্ঞান অর্জন ও বুঝার তাওফিক দান করেন।' সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭৩১২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৩৭


আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'যখন মানুষ মৃত্যু বরণ করে, তখন তার সব আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু তিনটি আমল এমন যার সাওয়াব বন্ধ হয় না।' 


০১. ছাদক্বায়ে জারিয়া অর্থাৎ- প্রবাহমান ছাদক্বাহ। 

০২. ইলম : যার দ্বারা জনগণ উপকৃত হয়। 

০৩. নেক সন্তান : যে তার জন্য দুআ করে। সহীহ মুসলিম, ১৬৩১


রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট দু‘জন ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচিত হলো। তাদের একজন আবেদ (সাধারণ ইবাদতকারী) আর অপরজন আলেম, (কার ফজিলাত বেশি?) । রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আবেদের উপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব তেমন, যেমন আমার শ্রেষ্ঠত্ব তোমাদের মধ্যে একজন সাধারণ ব্যক্তির উপর। অত:পর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেশতাগণ এবং আসমান –যমিনের অধিবাসীরা এমনকি গর্তের পিপীলিকা ও পানির মাছ পর্যন্ত যে ব্যক্তি মানুষকে ভাল কথা বলে তথা ইলম শিক্ষা দিয়ে থাকেন, তার জন্য দুআ করে।' তিরমিজি শরিফ

বন্ধ হোক প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চা হোক সুষ্ঠু রাজনীতি|





 বন্ধ হোক প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চা  হোক সুষ্ঠু রাজনীতি| 

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল  ২০১৬, ০০:০০

কাজী দেলোয়ারুল আজীম 

কলাম লেখক । 

রাজনীতি বা রাজার নীতি একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম ধারক ও বাহক। অন্যদিকে প্রতিহিংসার রাজনীতি উন্নয়নের অন্তরায়। অথচ আমরা সুষ্ঠু রাজনীতিচচার্ বাদ দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। চারদিকে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি। সরকার দলীয় নেতাকমীের্দর সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাকমীের্দর এক টেবিলে বসে চা খাওয়া তো দূরের কথা কেউ কারোর কথাকে মাটিতেই পড়তে দেয় না, এর আগেই তা নিয়ে বানানো হয় মহাকাব্য। অথচ সমঝোতার ভিত্তিতে চাইলে দেশের অবস্থা ব্যাপক পরিবতর্ন আনা সম্ভব। এই সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাজনীতির চচার্ না করে ওত পেতে বসে থাকে কে কাকে কীভাবে ঘায়েল করবে তাই নিয়ে। নতুন প্রজন্ম তাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এই কুৎসিত রাজনীতিচচার্ থেকে। সরকারের ভালো কমর্কাÐগুলো চোখে পড়ছে না বিরোধীদলীয় নেতাকমীের্দর অন্যদিকে আবার সরকারের খারাপ কাজের সমালোচনাকারীদেরও সহজভাবে দেখছে না সরকারদলীয় নেতাকমীর্রা। কে কাকে কীভাবে ডমিনেট করবে তাই নিয়ে রাজনীতির মহলে চলে হট্টগোল। আজ কোনো এক রাজনৈতিক দল একটা জায়গায় সম্মেলন করবে কাল ওই জায়গাতেই অন্য রাজনৈতিক দলের সম্মেলন করা লাগবে। এমনকি এমন দৃশ্য চোখে পড়ে যে একেই দিনে পাল্টাপাল্টি সম্মেলনের ডাক দেয় সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতাকমীর্রা। যার ফলাফল সাধারণ জনগণের চরম ভোগান্তি। সমঝোতার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসা এ যেন বতর্মানে অমাবস্যার চঁাদের মতো এক অলীক কল্পনা। বিরোধীদলীয় নেতাকমীের্দর অব্যশই মনে রাখতে হবে কেবল বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলতে বোঝায়, যে শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা রাষ্ট্রের সব সদস্য তথা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে। এটি এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে শাসনকাযের্ জনগণের সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সবাই মিলে সরকার গঠন করে। এটি জনগণের অংশগ্রহণে, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের কল্যাণাথের্ পরিচালিত একটি শাসনব্যবস্থা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের মতপ্রকাশ ও সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ থাকে। এতে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় অথার্ৎ নিবার্চনের মাধ্যমে সরকার পরিবতির্ত হয়। একাধিক রাজনৈতিক দল থাকে, সবার স্বাথর্রক্ষায় সুযোগ থাকে এবং নাগরিকের অধিকার ও আইনের শাসনের স্বীকৃতি দেয়া হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক দল অপরিহাযর্। আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা মূলত রাজনৈতিক দলেরই শাসন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে গঠিত সরকার হচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার। আর রাজনৈতিক দল ছাড়া এই গণতান্ত্রিক সরকার গঠন সম্ভব নয়। এই কথাগুলোই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।কিন্তু 


পরিতাপের বিষয় আজকাল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই চলে রেষারেষি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আদশর্ ও কমর্সূচিভিত্তিক রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি। আর আমাদের দেশে রাজনীতির চিত্র হলো কে নিবার্চনে অংশগ্রহণ করবে আর কে করবে না তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রত্যেকেরই লক্ষ্য একক প্রচেষ্টায় নিবার্চনে গিয়ে ক্ষমতা দখল করা। আজ জনগণ ব্যথর্ হচ্ছে তাদের মতামত প্রকাশে। যদিও সংবিধানে বলা আছে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় থাকবে সবার অবাধ সুষ্ঠু মতামত প্রকাশ করার ক্ষমতা কিন্তু বতর্মানে তা অনেকটাই বিলুপ্ত প্রায়। এটা সবার মনে রাখা দরকার গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকারের মূল ক্ষমতার উৎস হলো জনগণ। সাধারণ জনগণের মতামত যদি প্রাধান্য না দেয়া হয় তাহলে রাজনীতির সুষ্ঠু চচাের্ক্ষত্র কীভাবে তৈরি হবে, আর কীভাবেই বা এই চচাের্ক্ষত্রে বীজ বপন করবে সাধারণ জনগণ ও নতুন প্রজন্ম।

স্বাধীনতার ৪৭ বছর আজ পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের সংবিধান পরিবতর্ন করা হয়েছে ১৬ বার। যা পৃথিবীর অন্য কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের সংবিধান এই অল্প সময়ের মধ্যে এত বার পরিবতর্ন হয়েছে কিনা সন্দেহ। আমরা যে সরকারই যখন ক্ষমতায় আসি তখন আমাদের মূল লক্ষ্যই থাকে কীভাবে সংবিধান পরিবতর্ন করা যায়। কীভাবে নিজেদের আওতায় নিয়ে আসা যায়। এটা তো রাজনৈতিক একটা প্রতিহিংসা মাত্র। এভাবে যতদিন প্রতিহিংসা রাজনীতি চলবে ততদিন সুষ্ঠু রাজনীতিচচার্র কথা চিন্তা করা আষাঢ়ে গল্পের মতোই।

গণতন্ত্র সফল করার উপায় ও গণতান্ত্রিক আচরণÑ

গণতন্ত্র বতর্মান যুগে প্রচলিত শাসনব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সবোর্ৎকৃষ্ট এবং সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শাসনব্যবস্থা। কিন্তু এর চচার্ বা বাস্তবায়নের পথে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্য প্রয়োজন শিক্ষিত ও সচেতন জনগোষ্ঠী, অথৈর্নতিক সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা, দক্ষ প্রশাসন এবং উপযুক্ত নেতৃত্ব। এ ছাড়া আরও প্রয়োজন পরমতসহিষ্ণুতা, আইনের শাসন, মুক্ত ও স্বাধীন প্রচারযন্ত্র, একাধিক রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক সহনশীলতা। তবে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন তা হলো, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন হতে হবে। তাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক আচরণ করতে হবে।


দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত

  দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত কাজী দেলোয়ারুল আজীম । Kazi Dalwarul Azim  আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত ন...