Sunday, March 27, 2022

আয়তুল কুরছির ফজিলত



 আয়াতুল কুরসির ফজিলত



১। আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে 

৭০,০০০ ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।

২। এটি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ

করতে পারেনা।

৩। এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা

তাকে পাহারা দেন।

৪। ফরজ নামাযের পর পড়লে তার আর বেহেস্তের 

মধ্য একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলো মৃত্য।

এবং মৃত্য আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়।

৫। ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।(সহীহ হাদিস)

৬। জান্নাতের দরজা: আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল নুরে মুজাসসাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী]

৭। হজরত আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ 

কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি

এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ 

তার ঘরে,প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বায়হাকী]

৮। মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব 

ইবনে জানাদাহ রা. রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী]

৯। উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। [সহীহ মুসলিম]

১০। যে দোয়া পড়লে মৃত্যুর আযাব হবে পিপড়ার কামড়ের সমান।

সুবহানাল্লাহ। 

সংগৃহীত

Monday, February 21, 2022

শিশু সন্তান মা বাবা কে জান্নাতে পৌচাবে



 শিশু অবস্থায় কোনো সন্তান মারা গেলে পরকালে তারা তাদের মুসলিম মাতা-পিতাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, ‘শিশু (অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী) মুসলিম সন্তানেরা জান্নাতের ‘শিশু খাদেম’ হবে। তারা তাদের মাতা-পিতাকে পেলে কাপড় ধরে টেনে জান্নাতে না নেওয়া পর্যন্ত ছাড়বে না।’ (মেশকাত : ১৭৫২)


গর্ভে যাদের সন্তান মারা যায়, তাদের জন্য প্রিয়নবীর ঘোষণা...  


ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! সন্তান গর্ভে মারা যাওয়ার পর মা যদি ধৈর্য ধরে, ঐ গর্ভস্থ সন্তান কিয়ামতের দিন তার মাকে তার নাড়ি দিয়ে জড়িয়ে-বেঁধে টেনে টেনে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে!

[ ইবনে মাজাহঃ ১৬০৯, মুসনাদে আহমাদঃ ২২০৯০, সহিহ সনদ] 


ছোট্ট বাবু তার মাকে আঁচল নয়, নাড়ি ধরে টানছে জান্নাতের দিকে... আহ! ভাবা যায় কি মনকাড়া হবে সে দৃশ্য...  আল্লাহু আকবার!  আল্লাহু আকবার!! 


শিশু বয়সে মৃত্যুবরণকারী সন্তানদের জান্নাতে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতির সঙ্গে উপমা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু হাসসান (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত আবু হুরায়রাকে (রা.) বললাম, ‘আমার দুটি সন্তান মারা গিয়েছে। আপনি কি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর থেকে থেকে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করবেন, যাতে আমরা অন্তরে সান্ত্বনা পেতে পারি?’ তখন আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, হ্যাঁ, আমি নবীজিকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘ছোট বয়সে মৃত্যুবরণকারী সন্তানেরা জান্নাতের প্রজাপতির মতো। তাদের কেউ যখন পিতা কিংবা পিতা-মাতা উভয়ের সঙ্গে মিলিত হবে, তখন তার পরিধানের কাপড় কিংবা হাত ধরবে, যেভাবে এখন আমি তোমার কাপড়ের আঁচল ধরেছি। এরপর সেই কাপড় কিংবা হাত আর পরিত্যাগ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তাকে তার মা-বাবাসহ জান্নাতে প্রবেশ না করাবেন। (মুসলিম : ৬৩৭০)

আর যারা গর্ভে লালন পালনের ভয়ে ইচ্চে করে হত্যা করে ঐ সন্তান মা বাবা কে পেলে কি করবে একটু ভাবুন । হত্যার আসামী করবে । 


সুতরাং সত্যিই গোনাহ ছাড়া মুমিনের কোনো বিপদও নেই। এবং হারানো বা আফসোসের কিছু নেই। বরং এগুলোর সবই আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ।


Thursday, November 4, 2021

আলেম ও হাফেজের মর্যাদা ।





 একজন আলেমর সম্মান মহান আল্লাহর কাছে অনেক ।

২. আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান :

জ্ঞানী ও মূর্খ কখনো সমান হতে পারে না। 


قا ل الله تبارك وتعا لى :

قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لا يعلمون ( الزمر 9- )


হে নবী আপনি বলে দিন, যে ব্যক্তি (কুরআন-সুন্নাহ তথা শরীয়াতের বিধান) জানে আর যে জানে না, তারা কি উভয়ে সমান গতে পারে? তার মানে কখনই সমান হতে পারে না।


০৩. যাদেরকে দ্বীন ইলমের জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদেরকে বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছে ঐসব লোকদের উপর, যারা তা জানে না।


قال الله سبحا نه وتعا لى :

*يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٌ (المجادلة-11) 


তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে দ্বীন ইসলামের জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদেরকে বিশেস সন্মান বা মর্যাদা দান করা হয়েছে।


ব্যাখ্যা :

আলোচ্য আয়াতে কারীমা দ্বারা একথা প্রতীয়মান হলো যে, ঈমান্দার ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যাদেরকে ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী করা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে বিশেষ সন্মানে ভূষিত করেছেন। অর্থাৎ- তাদের মস্তকে মর্যাদার বিশেষ মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন।


০৪. অন্য আয়াতে কারীমায় ইরশাদ হয়েছে-


قال الله تبارك وتعا لى :

* شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ( العمران-18)-


ইরশাদ হচ্ছে যে, আল্লাহ তায়লা স্বয়ং এ কথার উপর স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আল্লাহর স্বাক্ষ্যের পাশাপাশি একথার স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন ফেরেশ্তামন্ডলী ও ওলামায়ে কেরাম। আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন।


ব্যাখ্যা :

আলোচ্য আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তায়ালা তার সত্তার একত্ববাদের স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রথমে তিনি নিজে, দ্বিতিয় পর্যায়ে ফেরেশ্তামন্ডলী ও তৃতীয় পর্যায়ে ওলামায়ে কিরামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর দ্বারা একথা প্রতীয়মান হয় যে, মর্যাদার দিক থেকে (নাবী-রাসূল ব্যতিত) ফেরেশ্তাকুলের পরেই ওলামায়ে কেরামের অবস্থান।


০৫. আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ ফরমান : যারা ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী তথা আলিম, তারাই আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেন।


قا ل الله تعالى : 

* إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَماء – ( الفا طر -28 )


একমাত্র (ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী) আলিমগণই আমাকে ভয় করে থাকে।


০৬.আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ ফরমান :


قال الله تعا لى : 

• فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ( النحل-43)


তোমরা যারা জানো না, যারা জানে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।


০৭. একমাত্র আলিমগণই ভাল-মন্দ ও হক বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে। কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে :


• وَمَا يَعْقِلُهَا إِلَّا الْعَالِمُونَ-(العنكبوت- 43) 


একমাত্র আলেমগণই ভাল-মন্দ ও হক-বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে।


যরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'প্রতিটি মুসলিম পুরুষের উপর দ্বীনী ইলম শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ।' 


মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান: 'আল্লাহ তায়ালা যার জন্য বিশেষ কল্যাণ কামনা করেন, তাকে দ্বীনী জ্ঞান অর্জন ও বুঝার তাওফিক দান করেন।' সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭৩১২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৩৭


আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'যখন মানুষ মৃত্যু বরণ করে, তখন তার সব আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু তিনটি আমল এমন যার সাওয়াব বন্ধ হয় না।' 


০১. ছাদক্বায়ে জারিয়া অর্থাৎ- প্রবাহমান ছাদক্বাহ। 

০২. ইলম : যার দ্বারা জনগণ উপকৃত হয়। 

০৩. নেক সন্তান : যে তার জন্য দুআ করে। সহীহ মুসলিম, ১৬৩১


রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট দু‘জন ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচিত হলো। তাদের একজন আবেদ (সাধারণ ইবাদতকারী) আর অপরজন আলেম, (কার ফজিলাত বেশি?) । রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আবেদের উপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব তেমন, যেমন আমার শ্রেষ্ঠত্ব তোমাদের মধ্যে একজন সাধারণ ব্যক্তির উপর। অত:পর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেশতাগণ এবং আসমান –যমিনের অধিবাসীরা এমনকি গর্তের পিপীলিকা ও পানির মাছ পর্যন্ত যে ব্যক্তি মানুষকে ভাল কথা বলে তথা ইলম শিক্ষা দিয়ে থাকেন, তার জন্য দুআ করে।' তিরমিজি শরিফ

দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত

  দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত কাজী দেলোয়ারুল আজীম । Kazi Dalwarul Azim  আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত ন...