Tuesday, April 18, 2023

পবিএ লাইলাতুল কদর যা হাজার মাস হতে উওম ।

 








ধরণীর বুকে সবচাইতে মহিমান্বিত রাত হচ্ছে লাইলাতুল কদর। কেননা আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এ রাত সম্পর্কে বলেছেন, ‘লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি-শাহর’– অর্থাৎ কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।


মাহে রমজান আল্লাহর কাছে সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ মাস। আর এ মাসের সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ রাত হলো কদরের রাত। রমজানে যে কোনো ইবাদতের সাওয়াব ৭০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। একটি নফল ইবাদতের মর্যাদা একটি ফরজের সমান হয়ে যায়। এভাবে মাহে রমজান বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের সেই মাস যা মূলত ইবাদাতের মওসুম। আর লাইলাতুল কদর হলো সেই ইবাদাতের মওসুমের সর্বোচ্চ মহিমান্বিত ইবাদতের রজনী।

হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এই রজনীতে যে ইবাদাত করা হবে তার সাওয়াবও হবে হাজারগুণ। অনেকে বলেন, হাজার মাস হচ্ছে কদরের রাতবিহীন ৮৪ বছরের সমান। অতএব এ রাতের ইবাদত দ্বারা কারো জীবনের ৮৪ বছরের নফল ইবাদত আমলনামায় লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।

এ রাতে বেশি বেশি সালাত আদায়ের মাধ্যমে ইবাদত করা উচিত। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে নামাজে দাঁড়ায় তার আগের সব পাপ মার্জনা করে দেয়া হয়। [বুখারী: ১/১৬, হা. ৩৫]

ইমাম বুখারী তার গ্রন্থে একটি অনুচ্ছেদের নাম দিয়েছেন, ‘লাইলাতুল কদরে সালাত আদায় ঈমানের অন্যতম বিষয়’। এ থেকেই বোঝা যায় কদরের রাতে সালাত আদায়ের গুরুত্ব বেশি। দু’ রাকাত করে নফল সালাত আদায় করা যেতে পারে। আর ফজরের সময় নিকটবর্তী হলে এক রাকাত বা তিন রাকাত বিতরের নামাজ আদায় করে রাতের সালাতকে বেজোড় সালাতে পরিণত করা রাসূলের সুন্নাত।

‘কদর’ শব্দটি থেকেই এসেছে তাকদীর। কুরআন বলে, এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (মানুষের ভাগ্য) নির্ধারিত হয়। [সূরা দুখান: ৪]

সূরা কদরে এ বিষয়টি এসেছে এভাবে– ‘এ রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিবরীল) তাদের পালনকর্তার অনুমতিক্রমে প্রতিটি কাজের নির্দেশ নিয়ে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। আর ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত এতে বিরাজ করে শান্তি ও নিরাপত্তা।’

লাইলাতুল কদরে যে যে ইবাদাত করা যায় তা হচ্ছে– নফল সালাত আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, যিক্‌র-আযকার, দোয়া, তওবা-ইস্তেগফার, কবর জিয়ারত, আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা ও গরীবদের অন্নদান ইত্যাদি।

কদরের রাতের দোয়া

ইবাদাতের সাথে সাথে জীবনের ভুল-ত্রুটি, পাপরাশি মোচনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ও আপনজনসহ দুনিয়ার সকল মুসলিমের মাগফেরাত কামনা করা একান্ত জরুরি। সেইসাথে আল্লাহর দরবারে নিজেকে সমর্পণ করে দিয়ে মনের সকল আকুল-আকুতি প্রভুর কাছে পেশ করার অতি মূল্যবান সময় এ রাত।

লাইলাতুল কদরের বিশেষ দোয়া সম্পর্কে হাদিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা রয়েছে। সেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মা আয়েশাকে কদরের রাতে পড়ার জন্য একটি ছোট্ট অথচ তাৎপর্যময় দোয়া শিখিয়েছেন।

রাসূল সা:-এর স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি লাইলাতুল কদর পেয়ে যাই, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?’

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বলবে–

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুওউন; তুহিব্বুল ‘আফওয়া; ফা-‘ফু আন্নী।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে পছন্দ করেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী, মিশকাত)

সুতরাং রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতে বেশি বেশি এ দোয়াটি পড়া মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়াও আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা লাভে কুরআনুল কারিমে তিনি বান্দার জন্য অনেক দোয়া তুলে ধরেছেন। যা নামাজের সেজদা, তাশাহহুদসহ সব ইবাদত-বন্দেগিতে পড়ার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে–

. رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।’

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)

. رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

‘রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু-প্রতিপালক! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের প্রতি রহম করুন। আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান। (সূরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)

. رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

‘রাব্বি ইন্নী জালামতু নাফসি ফাগফিরলি।’

অর্থ : (হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (সূরা কাসাস : আয়াত ১৬)

. رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

‘রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনূবানা ওয়া ক্বিনা আজাবান-নার।’

অর্থ : হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং আপনি আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১৬)

. رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

‘রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরীন।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।’ (সূরা আরাফ : আয়াত ২৩)

. رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ

‘রাব্বানাগফিরলি ওয়া লিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করুন। (সূরা ইবরাহীম : আয়াত ৪১)

. سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ

‘সামি‘না ওয়া আত্বা‘না গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছির।’

অর্থ : আমরা (আপনার বিধান) শুনলাম এবং মেনে নিলাম। হে আমাদের রব! আমাদের ক্ষমা করুন। আপনার দিকেই তো (আমাদের) ফিরে যেতে হবে। (সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত ২৮৫)

. رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْإِيْمَانِ

‘রাব্বানাগফিরলানা ওয়াল ইখওয়ানিনাল্লাজিনা সাবাকুনা বিল ঈমান।

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের আগে যারা ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদেরকেও ক্ষমা করুন। (সুরা হাশর : আয়াত ১০)

. رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِيْ أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ

‘রাব্বানাগফিরলানা জুনূবানা ওয়া ইসরাফানা ফী আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্বদামানা ওয়ানছুরনা ‘আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন। আমাদের কাজের মধ্যে যেখানে আপনার সীমালঙ্ঘন হয়েছে, তা মাফ করে দিন। আমাদের কদমকে অবিচল রাখুন এবং অবিশ্বাসীদের মোকাবেলায় আমাদের সাহায্য করুন। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১৪৭)

. رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ

‘রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনূবানা ওয়া কাফফির আন্না সায়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মাআল আবরার।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করুন। আমাদের ভুলগুলো দূর করে দিন এবং সৎকর্মশীল লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করুন। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১৯৩)

আমাদের উচিত, সেজদায় গিয়ে তাসবিহ পড়ে কিংবা শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ ও দরূদ পড়ার পর নিজেদের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য কুরআনে বর্ণিত এ দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়া।

এছাড়া রাসূল সা: ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আল্লাহর কাছে যেসব দু‘আ করেছেন এবং আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন, তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ একটি দু‘আ রয়েছে, যাকে হাদীসে বলা হয়েছে– ‘সাইয়িদুল ইসতিগফার’ বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দু‘আ। সাইয়িদ মানে নেতা বা সরদার। এ দু‘আকে বলা হয়েছে গুনাহমাফির দু‘আসমূহের সরদার। দু‘আটি হলো–

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُك وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

‘আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা; খালাকতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত‘তু; ‘আউযুবিকা মিন শার্‌রি মা ছা‘নাতু আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযামবী, ফাগফির্ লী, ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।’

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রতিপালক, আপনি ছাড়া প্রকৃত ইবাদতের যোগ্য কেউ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আর আমি আপনার গোলাম; আমি আপনার হেদায়াতের পথে চলছি এবং সাধ্যমত আপনার সাথে কৃত অঙ্গীকার পালনে সচেষ্ট রয়েছি। আমার কৃত-কর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমাকে যত নেয়ামত দিয়েছেন, সেগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করছি। যত অপরাধ করেছি সেগুলোও স্বীকার করে নিচ্ছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। কারণ, আপনি ছাড়া গুনাহ মাফ করার কেউ নেই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি (সাইয়িদুল ইসতিগফার) পাঠ করবে, ওই দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে। এবং যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে রাতে এ দু‘আ পাঠ করবে, ওই রাতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।’ [সহীহুল বুখারী]

আল্লাহ আমাদের কৃত অপরাধের ক্ষমা লাভে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো কদরের রাতের ছোট্ট দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফীক দান করুন। সেইসাথে কুরআনি দোয়াসহ সাইয়েদুল ইসতিগফার দৈনন্দিন চর্চায় অভ্যস্ত হওয়ার তাওফীক দান করুন।

দয়াময় আল্লাহ আমাদের সকলের তথা মুসলিম উম্মাহর ভাগ্যে কদরের রাতের ফজিলত ও বরকত নির্ধারণ করে দিন। আমীন

Thursday, June 16, 2022

ছেলে বা মেয়ে জন্ম হওয়ার উৎস্য

 



পুরুষের বীর্য থেকে ছেলে সন্তান.!

নারীর বীর্য থেকে কন্যা সন্তান।

( সংগৃহীত)

বিজ্ঞান যদিও বহু বছর পর এর সমাধান বের করেছে, কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমাধান দিয়ে গেছেন।

যেমন আল্লাহর বাণীতে বলা হয়েছে

لِّلَّهِ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۚ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُۚ يَهَبُ لِمَن يَشَآءُ إِنَٰثًا وَيَهَبُ لِمَن يَشَآءُ ٱلذُّكُورَ

আসমান ও জমিনের রাজত্ব একমাত্র আল্লাহর। তিনি যা চান তাই সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন।

أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَٰثًاۖ وَيَجْعَلُ مَن يَشَآءُ عَقِيمًاۚ إِنَّهُۥ عَلِيمٌ قَدِيرٌ

অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয়ই দান করেন। আবার যাকে ইচ্ছা নিঃসন্তান রাখেন। নিশ্চয়ই তিনি মহাজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান। (আশ-শূরা :৪৯-৫০)

فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَعَمْ فَمِنْ أَيْنَ يَكُونُ الشَّبَهُ إِنَّ مَاءَ الرَّجُلِ غَلِيظٌ أَبْيَضُ وَمَاءَ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ فَمِنْ أَيِّهِمَا عَلاَ أَوْ سَبَقَ يَكُونُ مِنْهُ الشَّبَهُ ‏"‏ ‏.‏

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ পুরুষের বীর্য সাদা আর মহিলাদের বীর্য হলুদ। যখন উভয়ের বীর্য একত্রিত হয় এবং পুরুষের বীর্য মহিলাদের বীর্যের উপর প্রাধান্য লাভ করে, তখন আল্লাহর হুকুমে পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। আর যখন মহিলাদের বীর্য পুরুষের বীর্যের উপর প্রাধান্য লাভ করে, তখন আল্লাহর হুকুমে কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।(সহীহ মুসলিম ৫৯৭)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَعَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ، سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الْمَرْأَةِ تَرَى فِي مَنَامِهَا مَا يَرَى الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ إِذَا رَأَتْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَتْ فَعَلَيْهَا الْغُسْلُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَكُونُ هَذَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ مَاءُ الرَّجُلِ غَلِيظٌ أَبْيَضُ وَمَاءُ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ فَأَيُّهُمَا سَبَقَ أَوْ عَلاَ أَشْبَهَهُ الْوَلَدُ ‏"‏ ‏.‏

ইবনে মাজাহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং২/৬০১। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উম্মু সুলাইম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট জিজ্ঞেস করেন, পুরুষের ন্যায় কোন নারীর স্বপ্নদোষ হলে সে কী করবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি তার স্বপ্নদোষ হয় এবং তার বীর্যপাত হয়, তবে তাকে গোসল করতে হবে। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, হে আললাহর রাসূল! তাই কি হয়? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। পুরুষের বীর্য গাঢ় সাদা এবং স্ত্রীলোকের বীর্য পাতলা হলদে রংবিশিষ্ট। সুতরাং এদের মধ্যে যার বীর্য আগে স্খলিত হয়, সন্তান তার সদৃশ হয়।

তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: মুসলিম ৩১০-১১, নাসায়ী ১৯৫, ২০০; আহমাদ ১২৬৪২, ১৩৬৯৮; দারিমী ৭৬৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৩৪২

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ من غسل إِذا احْتَلَمت قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا رَأَتِ الْمَاءَ» فَغَطَّتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَجْهَهَا وَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَتَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ قَالَ: «نعم تربت يَمِينك فَبِمَ يشبهها وَلَدهَا؟»

মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৪৩৩-[৪] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন (আনাস (রাঃ)-এর মা) উম্মু সুলায়ম (রাঃ)বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ তা‘আলা হক কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন না। স্ত্রীলোকের স্বপ্নদোষের কারণে তার ওপর কি গোসল ফরয হয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তরে বললেনঃ হাঁ, যদি (ঘুম থেকে জেগে উঠে) বীর্য দেখে। এ উত্তর শুনে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) (লজ্জায়) স্বীয় মুখ ঢেকে ফেললেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীলোকেরও আবার স্বপ্নদোষ হয় (পুরুষের ন্যায় বীর্যপাত হয়)। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। কি আশ্চর্য! (তা না হলে) তার সন্তান তার সদৃশ হয় কীভাবে? ] সহীহ : বুখারী ১৩০, মুসলিম ৩১৩।

وَزَادَ مُسْلِمٌ بِرِوَايَةِ أُمِّ سُلَيْمٍ: «أَنَّ مَاءَ الرَّجُلِ غَلِيظٌ أَبْيَضُ وَمَاءَ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ فَم أَيِّهِمَا عَلَا أَوْ سَبَقَ يَكُونُ مِنْهُ الشَّبَهُ»

মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৪৩৪-[৫] কিন্তু ইমাম মুসলিম (রহঃ) উম্মু সুলায়ম (রাঃ)-এর বর্ণনায় এ কথাগুলো বেশী বলেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ কথাও বলেছেন যে, সাধারণত পুরুষের বীর্য গাঢ় ও সাদা। স্ত্রীলোকের বীর্য পাতলা ও হলদে। উভয়ের বীর্যের মধ্যে যেটিই জয়ী হয়, অর্থাৎ- যে বীর্য আগে গর্ভাশয়ে প্রবেশ করে সন্তান তার সাদৃশ্য হয়।[1][1] সহীহ : মুসলিম ৫৯৭

وَعَن أنس قا ل سَمِعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ بِمَقْدَمِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي أَرْضٍ يَخْتَرِفُ فَأَتَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ ثَلَاثٍ لَا يَعْلَمُهُنَّ إِلَّا نَبِيٌّ: فَمَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَمَا أَوَّلُ طَعَامِ أَهْلِ الْجَنَّةِ؟ وَمَا يَنْزِعُ الولدُ إِلَى أبيهِ أَو إِلَى أمه؟ قا ل: «أَخْبرنِي بهنَّ جِبْرِيلُ آنِفًا أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ فَزِيَادَةُ كَبِدِ الْحُوت وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَ الْمَرْأَةِ نَزْعَ الْوَلَدَ وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الْمَرْأَةِ نَزَعَتْ» . قَالَ: أشهد أَن لاإله إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْيَهُودَ قَوْمٌ بُهْتٌ وَإِنَّهُمْ إِنْ يعلمُوا بِإِسْلَامِي من قبل أَن تَسْأَلهُمْ يبهتوني فَجَاءَتِ الْيَهُودُ فَقَالَ: «أَيُّ رَجُلٍ عَبْدُ اللَّهِ فِيكُمْ؟» قَالُوا: خَيْرُنَا وَابْنُ خَيْرِنَا وَسَيِّدُنَا وَابْنُ سيدِنا فَقَالَ: «أرأَيتم إِنْ أَسْلَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ؟» قَالُوا أَعَاذَهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ. فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ فَقَالُوا: شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا فَانْتَقَصُوهُ قَالَ: هَذَا الَّذِي كُنْتُ أَخَافُ يَا رسولَ الله رَوَاهُ البُخَارِيّ رواہ البخاری (4480) ۔ (صَحِيح)

মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৫৮৭০-[৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, 'আবদুল্লাহ ইবনু সালাম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম.) -এর মদীনায় আগমনের সংবাদ শুনতে পেলেন। এ সময় তিনি নিজের এক বাগানে খেজুর পাড়ছিলেন। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে এসে বললেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি প্রশ্ন করব, যা নবী ছাড়া আর কেউই জানে না।

১. কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত কি?

২. জান্নাতবাসীদের সর্বপ্রথম খাদ্য কি?

৩. কিসের কারণে সন্তান (আকৃতিতে) কখনো তার পিতার মতো হয়, আবার কখনো তার মায়ের মতো হয়?

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম.) বললেন, এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জিবরীল আলায়হিস সালাম এইমাত্র আমাকে অবহিত করে গেলেন। কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামাত হলো একটি আগুন, যা লোকেদেরকে পূর্ব দিকে হতে পশ্চিম দিকে সমবেত করে নিয়ে যাবে। আর জান্নাতবাসীগণ সর্বপ্রথম যে খাদ্য খাবে, তা হলো মাছের কলিজার অতিরিক্ত টুকরা আর (সন্তানাদির বিষয়টি) যদি নারীর বীর্যের উপর পুরুষের বীর্যের প্রাধান্য ঘটে, তবে সন্তান বাপের মতো হয়। আর যদি নারীর বীর্যের প্রাধান্য ঘটে, তবে সন্তান মায়ের রূপ ধারণ করে। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম বলে উঠলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তা'আলা ছাড়া ইবাদাত পাওয়ার যোগ্য কেউ নেই এবং নিশ্চয় আপনি আল্লাহর রাসূল।

(অতঃপর তিনি বললেন) হে আল্লাহর রাসূল! ইয়াহূদীরা এমন একটি জাতি, যারা অপবাদ আনবে। অতঃপর ইয়াহুদীগণ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে আসলে তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করলেন, তোমাদের মাঝে আবদুল্লাহ কে? তার উত্তরে বলেন, আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম লোক এবং সর্বোত্তম ব্যক্তির সন্তান। তিনি আমাদের নেতা এবং আমাদের নেতার সন্তান। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম.) বললেন, আচ্ছা বল তো, আবদুল্লাহ ইবনু সালাম যদি ইসালাম গ্রহণ করে, তখন তারা বলে উঠল, আল্লাহ তা'আলা তাকে তা হতে রক্ষা করুন। এমন সময় ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (আড়াল হতে) বের হয়ে এসে কালিমাহ্ উচ্চারণ করে বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাসনার যোগ্য কেউ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম.) আল্লাহর রাসূল। তখন তারা (ইয়াহূদীরা) বলতে লাগল, (এ লোকটি) আমাদের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তির সন্তান। অতঃপর তারা তাকে খুব তাচ্ছিল্যভাবে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করল। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! (এদের ব্যাপারে) আমি এটাই আশঙ্কা করেছিলাম।)

সহীহ: বুখারী ৪৪৮০, মুসনাদে আহমাদ ১২৯৯৩, মুসনাদে আবদ ইবনু হুমায়দ ১৩৮৯, আবূ ইয়া'লা ৩৪১৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৭৪২৩, আস্ সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ৯০৭৪।

عَن عبد الله بن مَسْعُود قَالَ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ الصَّادِق المصدوق: «إِن أحدكُم يجمع خلقه فِي بطن أمه أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثمَّ يكون فِي ذَلِك علقَة مثل ذَلِك ثمَّ يكون فِي ذَلِك مُضْغَة مثل ذَلِك ثمَّ يُرْسل الْملك فينفخ فِيهِ الرّوح وَيُؤمر بِأَرْبَع كَلِمَات بكتب رزقه وأجله وَعَمله وشقي أَو سعيد فوالذي لَا إِلَه غَيره إِن أحدكُم لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا»

মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৮২-[৪] ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃত আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেরই জন্ম হয় এভাবে যে, তার মায়ের পেটে (প্রথমে তার মূল উপাদান) শুক্ররূপে চল্লিশ দিন পর্যন্ত থাকে। অতঃপর তা চল্লিশ দিন পর্যন্ত লাল জমাট রক্তপিন্ডরূপ ধারণ করে। তারপর পরবর্তী চল্লিশ দিনে মাংসপিন্ডর রূপ ধারণ করে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা একজন মালাককে চারটি বিষয় লিখে দেয়ার জন্য পাঠন। সে মালাক লিখেন তার- (১) ‘আমল [সে কি কি ‘আমল করবে], (২) তার মৃত্যু, (৩) তার রিয্‌ক্ব (রিজিক/রিযিক) ও (৪) তার নেককার বা দুর্ভাগা হওয়ার বিষয় আল্লাহর হুকুমে তার তাক্বদীরে লিখে দেন, তারপর তন্মধ্যে রূহ্ প্রবেশ করান। অতঃপর সে সত্তার কসম, যিনি ব্যতীত প্রকৃত আর কোন ইলাহ নেই! তোমাদের মধ্যে কেউ জান্নাতবাসীদের ‘আমল করতে থাকে, এমনকি তার ও জান্নাতের মধ্যে মাত্র এক হাত দূরত্ব থাকে, এমন সময় তার প্রতি তাক্বদীরের লিখা তার সামনে আসে। আর তখন সে জাহান্নামীদের কাজ করতে থাকে এবং জাহান্নামে প্রবেশ করে। তোমাদের কোন ব্যক্তি জাহান্নামীদের মতো ‘আমল করতে শুরু করে, এমনকি তার ও জাহান্নামের মধ্যে এক হাত দূরত্ব অবশিষ্ট থাকে। এমন সময় তার প্রতি সে লেখা (তাক্বদীর) সামনে আসে, তখন সে জান্নাতীদের কাজ করতে শুরু করে, ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। (

[1] সহীহ : বুখারী ৩২০৮, মুসলিম ২৬৪৩, আবূ দাঊদ ৪৭০৮, ইবনু মাজাহ ৭৬, তিরমিযী ২১৩৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬১৭৪, আহমাদ ৩৯৩৪।

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَكَّلَ اللهُ بِالرَّحِمِ مَلَكًا فَيَقُولُ أَيْ رَبِّ نُطْفَةٌ أَيْ رَبِّ عَلَقَةٌ أَيْ رَبِّ مُضْغَةٌ فَإِذَا أَرَادَ اللهُ أَنْ يَقْضِيَ خَلْقَهَا قَالَ أَيْ رَبِّ أَذَكَرٌ أَمْ أُنْثَى أَشَقِيٌّ أَمْ سَعِيدٌ فَمَا الرِّزْقُ فَمَا الأَجَلُ فَيُكْتَبُ كَذَلِكَ فِي بَطْنِ أُمِّهِ

বুখারী শরীফ খন্ড নং পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৬৫৯৫. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ রেহেমে (মাতৃগর্ভে) একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, হে প্রতিপালক! এটি বীর্য। হে প্রতিপালক! এটি রক্তপিন্ড। হে প্রতিপালক! এটি গোশতপিন্ড। আল্লাহ্ যখন তার সৃষ্টি পূর্ণ করতে চান, তখন ফেরেশতা বলে, হে প্রতিপালক! এটি নর হবে, না নারী? এটি দুর্ভাগা হবে, না ভাগ্যবান? তার রিযক্ কী পরিমাণ হবে? তার জীবনকাল কী হবে? তখন (আল্লাহর নির্দেশমত) তার মায়ের পেটে থাকাকালে ঐ রকমই লিখে দেয়া হয়। [৩১৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৩)

Al-Hajj 22:5

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِن كُنتُمْ فِى رَيْبٍ مِّنَ ٱلْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَٰكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْۚ وَنُقِرُّ فِى ٱلْأَرْحَامِ مَا نَشَآءُ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوٓا۟ أَشُدَّكُمْۖ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّىٰ وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَىٰٓ أَرْذَلِ ٱلْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِنۢ بَعْدِ عِلْمٍ شَيْـًٔاۚ وَتَرَى ٱلْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَآ أَنزَلْنَا عَلَيْهَا ٱلْمَآءَ ٱهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنۢبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍۭ بَهِيجٍ

হে মানুষ! পুনরুত্থান সম্বন্ধে তোমাদের যদি কোন সন্দেহ থাকে তাহলে (ভেবে দেখ,) আমিই তো তোমাদেরকে (প্রথম মানুষ আদমকে) মাটি থেকে, তারপর (অন্যান্যদেরকে) বীর্য থেকে, তারপর জমাট রক্তপিণ্ড থেকে, তারপর সুগঠিত ও সুগঠিত নয় এমন মাংসখণ্ড থেকে সৃষ্টি করেছি; তোমাদের কাছে (আমার ক্ষমতা) প্রকাশ করার জন্য। আমি যা (সৃষ্টি করতে) চাই তা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত মাতৃগর্ভে রেখে দেই; তারপর তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করে আনি; পরে যাতে তোমরা পূর্ণ শক্তির বয়সে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কতক (অল্প বয়সে) মারা যায়, আবার তোমাদের মধ্যে কতককে নিকৃষ্টতম বয়সে (জরাজীর্ণ বার্ধক্যে) উপনীত করা হয়, যাতে তারা জানার পরে আবার কিছুই না জানে (সবকিছু ভুলে যায়)। আর তুমি জমিনকে দেখতে পাও মৃত, তারপর আমি যখন তাতে পানি (বৃষ্টি) বর্ষণ করি তখন তা নড়ে (জীবিত হয়ে) ওঠে, বেড়ে ওঠে আর সবরকম সুন্দর উদ্ভিদ উদ্‌গত করে।

ثُمَّ خَلَقْنَا ٱلنُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا ٱلْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا ٱلْمُضْغَةَ عِظَٰمًا فَكَسَوْنَا ٱلْعِظَٰمَ لَحْمًا ثُمَّ أَنشَأْنَٰهُ خَلْقًا ءَاخَرَۚ فَتَبَارَكَ ٱللَّهُ أَحْسَنُ ٱلْخَٰلِقِينَ

তারপর শুক্রবিন্দুকে জমাটবদ্ধ রক্তে এবং জমাটবদ্ধ রক্তকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছি। তারপর মাংসপিণ্ড থেকে হাড় সৃষ্টি করেছি এবং হাড়গুলোকে আবার মাংস দ্বারা আচ্ছাদিত করেছি। অবশেষে তাকে অন্য এক সৃষ্টিরূপে তৈরী করেছি। অতএব, সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত মহান! (সূরা মু'মিনুন :১৪)

وَٱللَّهُ خَلَقَكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ جَعَلَكُمْ أَزْوَٰجًاۚ وَمَا تَحْمِلُ مِنْ أُنثَىٰ وَلَا تَضَعُ إِلَّا بِعِلْمِهِۦۚ وَمَا يُعَمَّرُ مِن مُّعَمَّرٍ وَلَا يُنقَصُ مِنْ عُمُرِهِۦٓ إِلَّا فِى كِتَٰبٍۚ إِنَّ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٌ

আল্লাহ তোমাদেরকে মাটি ও বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন (প্রথম মানুষকে মাটি থেকে ও তার বংশধরদেরকে বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন), তারপর তোমাদেরকে (নারী-পুরুষের) জোড়া বানিয়েছেন। নারী যে গর্ভধারণ করে ও সন্তান প্রসব করে তা আল্লাহর জ্ঞাতসারেই হয়। বয়স্ক ব্যক্তি যে অধিক বয়স পায় কিংবা তার বয়স থেকে যা হ্রাস করা হয় তাও কিতাবে (লাওহে মাহ্‌ফূযে) লিখিত আছে। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। ( সূরা ফাতির : ১১)

أَوَلَمْ يَرَ ٱلْإِنسَٰنُ أَنَّا خَلَقْنَٰهُ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُّبِينٌ

মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে (নাপাক) বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছি? আর সে কিনা হয়ে যায় প্রকাশ্য ঝগড়াটে। (সূরা ইয়াছিন: ৭৭)

ٱللَّهُ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ قَرَارًا وَٱلسَّمَآءَ بِنَآءً وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمْۖ فَتَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ

আল্লাহ তো সেই মহান সত্তা, যিনি পৃথিবীকে তোমাদের বাসস্থান করেছেন, আকাশকে ছাদ বানিয়েছেন, তোমাদের আকার গড়েছেন, তোমাদের আকারকে সুন্দর করেছেন এবং তোমাদেরকে উৎকৃষ্ট জীবিকা দান করেছেন। ইনিই আল্লাহ, তোমাদের প্রভু। বিশ্বজগতের প্রভু এই আল্লাহ কত মহান! ( সূরা গাফির :৬৪)

خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ بِٱلْحَقِّ وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْۖ وَإِلَيْهِ ٱلْمَصِيرُ

তিনি যথাযথভাবে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, তোমাদের আকৃতি দিয়েছেন এবং তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন। তাঁর কাছেই (সবার) প্রত্যাবর্তন। (সূরা তাগাবুন : ৩)

هُوَ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوٓا۟ أَشُدَّكُمْ ثُمَّ لِتَكُونُوا۟ شُيُوخًاۚ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّىٰ مِن قَبْلُۖ وَلِتَبْلُغُوٓا۟ أَجَلًا مُّسَمًّى وَلَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ

তিনিই তোমাদেরকে (আদমকে) মাটি দ্বারা, তারপর (আদমের সন্তানদেরকে) শুক্রবিন্দু দ্বারা ও তারপর জমাট রক্ত দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমাদেরকে (মায়ের পেট থেকে) শিশুরূপে বের করেন। তারপর (বড় করে তোলেন) যাতে পূর্ণ শক্তির বয়সে (যৌবনে) উপনীত হও, তারপর বৃদ্ধ হও— যদিও তোমাদের কেউ কেউ তার আগেই মারা যায়— আর যাতে একটি নির্ধারিত সময়কালে পৌঁছাতে পার, এবং যাতে তোমরা (সবকিছু ভালভাবে) বুঝতে পার। ( সূরা গাফির : ৬৭)

خَلَقَ ٱلْإِنسَٰنَ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُّبِينٌ

তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন এক ফোঁটা শুক্র থেকে। অথচ এই মানুষই প্রকাশ্য বিরোধী হয়ে যায়। (সূরা নাহল : ৪)

Al-Insan 76:2

إِنَّا خَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ مِن نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَّبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَٰهُ سَمِيعًۢا بَصِيرًا

আমি তো মিশ্র বীর্যের একটি ফোঁটা থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছি, তাকে পরীক্ষা করব বলে; তাই তাকে শ্রবণশক্তিসম্পন্ন ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন করেছি। (সূরা ইনসান : ২

خَلَقَ ٱلْإِنسَٰنَ مِنْ عَلَقٍ

তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন জমাটবদ্ধ রক্ত থেকে। (সূরা আলাক্ব : ২)

ٱلَّذِىٓ أَحْسَنَ كُلَّ شَىْءٍ خَلَقَهُۥۖ وَبَدَأَ خَلْقَ ٱلْإِنسَٰنِ مِن طِينٍ

যিনি প্রত্যেকটি জিনিস সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন এবং মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি শুরু করেছেন (প্রথম মানুষ আদমকে সৃষ্টি করেছেন)। (সূরা আস-সাজদাহ : ৭)

لَقَدْ خَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ فِىٓ أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ

অবশ্যই আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর গঠনে সৃষ্টি করেছি। (সূরা ত্বীন : ৪)

# মিনহাজুস সুন্নাহ হতে কপিকৃত পোষ্ট।

Tuesday, May 31, 2022

পিঁপরা কাচের তৈরী




 `পবিত্র কোরআন ই‌ঙ্গিত দি‌য়ে‌ছে, পিঁপড়া কাঁ‌চের তৈরী, আর বিজ্ঞান ও অবশেষে তা প্রমাণ পেল!__আলহামদুলিল্লাহ।


আল্লাহ্ বল‌ছেনঃ

حَتَّىٰ إِذَا أَتَوْا عَلَىٰ وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَا أَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُودُهُ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ

•“অবশেষে যখন তারা পিঁপড়া অধ্যুষিত উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপড়া বলল, ‘হে পিঁপড়া বাহিনী! তোমরা তোমাদের ঘরে প্রবেশ কর, যেন সোলাইমান ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পায়ের নিচে পিষে না ফেলে”। (সুরা আন-নামল : ১৮)•


ইসলামের ঘোর বিরোধী কিছু ইউরোপীয় علماء علمانيين তথা ধর্মনিরপেক্ষ পণ্ডিত একবার কয়েক সদস্য বিশিষ্ট একটি গবেষক টিম বানিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্তত একটি ভুল হলেও কোরআন থেকে বের করে একথা প্রমাণ করা যে, কোন কিতাবই নিখুঁত ও নির্ভুল নয়।


কোরআনে যেহেতু অধিকাংশ বিষয়ই আধ্যাত্মিক ও পারলৌকিক অর্থ বহন করে সেহেতু তাদের মনে অনেকটাই কনফিডেন্স ছিল যে দর্শনগত কিছু ভুল হয়তো তারা খুঁজে পেয়ে মুসলমানদের লা জবাব করবে।


অবশেষে ভাবনা অনুযায়ী কঠিন গবেষণা আর হাড় ভাঙা পরিশ্রমের পর টিমের সদস্যদের একেকজনের ভিন্নমুখী দর্শনে কোরআনের এই অংশে তারা মতানৈক্যে জড়িয়ে যায়। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় কোরআনের ভাষাগত ত্রুটি বের করবে যেখানে মতানৈক্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। দীর্ঘ সময় পর ব্যাকরণগত কোন ত্রুটি না পেয়ে একটি শব্দের ব্যবহারিক অর্থ ও প্রয়োগ স্থান নিয়ে আপত্তি জানালো। সুরা নামলের উল্লিখিত ঐ আয়াতে “لا يحطمنكم” শব্দটি নিয়ে আপত্তি জানালো। কারণ التحطيم শব্দটির অর্থ হচ্ছে ভেঙে টুকরো টুকরো করা বা পিষে গুড়া করা। কাজেই التحطيم শব্দটির যথার্থ ব্যবহার কাঁচ বা কাঁচ জাতীয় পদার্থ ছাড়া অন্য কিছুতে সম্ভব নয়। তাহলে কিভাবে পিঁপড়ার জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করা সঠিক হয়েছে? যেহেতু পিঁপড়াকে পায়ের নিচে ফেলে টুকরো করা বা গুড়া করা যায় না সেহেতু এই শব্দটি পিঁপড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা ভুল হয়েছে। এভাবে তারা একটা অযাচিত ভুল দেখিয়ে অনেক উল্লাস করেছিল।


-এর বহু দিন পর অস্ট্রেলিয়ার প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন অধ্যাপকের পিঁপড়ার জীবন রহস্য গবেষণায় দেখা গেছে পিঁপড়ার শরীরের বাহিরের অংশে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাঁচের উপাদান বিদ্যমান এবং এর বডি উন্নত মানের গ্লাস ফাইবার দ্বারা তৈরি। যার কারণে একটি মৃত পিপড়ার খোলস সামান্য আঘাতে ভেঙে অনেক গুলো খণ্ডে টুকরো হতে দেখা যায়। অতঃপর সেই অধ্যাপক ইসলাম গ্রহণ করতে বিলম্ব করেননি। 


সুবহানাল্লাহ্♥️♥️♥️

°°°°°°°°°°°°

দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত

  দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত কাজী দেলোয়ারুল আজীম । Kazi Dalwarul Azim  আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত ন...